জেনারেটিভ এআই পেটেন্টের দৌড়ে চীনের আধিপত্য

প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২৪

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর দুনিয়ায় জেনারেটিভ এআই (জেনএআই) নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে ওপেনএআই-এর আবির্ভাবের পর থেকেই। জেনারেটিভ এআই-ভিত্তিক নতুন নতুন টুল বা ফিচারের দেখা মিলছে প্রায় নিয়মিতই। এআই-প্রযুক্তিতে টেক জায়ান্টদের করা মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের একটা বড় অংশও এখন খরচ হচ্ছে জেনারেটিভ এআই দিয়ে নিত্যনতুন উদ্ভাবনের পেছনেই। কিন্তু এই দৌড়ে এগিয়ে আছে কোন দেশ- এবার সেটাই প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ তাদের এক রিপোর্টে।

জাতিসংঘের সম্প্রতি প্রকাশিত ‘পেটেন্ট ল্যান্ডস্কেপ রিপোর্ট’ অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সময়কালের মধ্যে জেনএআই নিয়ে ৩৮,২১০টি পেটেন্ট ফাইল করা হয়েছে চায়না থেকে। সংখ্যাটা একই বিষয়ে আমেরিকার উদ্ভাবকদের ফাইল করা পেটেন্টের (৬,২৭৬টি) তুলনায় ৬ গুণ বেশি। তালিকায় চায়না ও আমেরিকার পর ৪,১৫৫টি পেটেন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। জাপান ও ভারত যথাক্রমে ৩,৪০৯টি ও ১,৩৫০টি পেটেন্ট ফাইল করা তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে।

পেটেন্ট প্রাপ্ত উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানের তালিকাতেও প্রথম ৪টি স্থান চায়নার দখলে। টেনসেন্ট (১ম) ও বাইডু (৩য়)-এর পাশাপাশি চায়না থেকে পিং এন ইন্স্যুরেন্স (২য়) ও চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স (৪র্থ) জায়গা করে নিয়েছে তালিকার প্রথম পাঁচে। আমেরিকা থেকে সবচেয়ে বেশি পেটেন্ট ফাইল করেছে আইবিএম, যাদের পেটেন্টের সংখ্যা ৬০১টি। তালিকার প্রথম স্থানে থাকা টেনসেন্টের সংখ্যাটা সেখানে ২,০৭৪।

বিশ্ব প্রযুক্তিতে চায়নার ক্রমবর্ধমান আধিপত্যই যেন আরও একবার প্রতিফলিত হয়েছে জাতিসংঘের এই রিপোর্টে। এখন দেখার বিষয় সামনের দিনগুলোতে এআই-এর মতো ‘ডিসরাপটিভ’ প্রযুক্তিতে চায়না তাদের প্রভাব কতটা ধরে রাখতে পারে।

তথ্যসূত্রইউএন, রয়টার্স