শিশুর ফুড পয়জনিং হলে কী করবেন?

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২৪

শিশুর ফুড পয়জনিং হলে কী করবেন?শিশুর খাবারের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা প্রয়োজন। ছবি: ফ্রিপিক

খাবার থেকে কোনো জীবাণু সংক্রমণ হলে তাকে ফুড পয়জনিং বলা হয়। অসাবধানতাবশত কোনো খাবারে জীবাণু প্রবেশ করলে, আর সেই খাবার পেটে গেলে ইনফেকশন হয়, এবং তা থেকে ফুড পয়জনিং হয়।

শিশুরা হাতের কাছে যা পায়, তা মুখে দিয়ে থাকে। তাই খুব সহজেই ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা শিশুরা আক্রান্ত হয়। এ কারণে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যায় শিশুরা কিছুটা বেশি পড়ে।

শিশুর খাবারের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা প্রয়োজন। খাবার বেশিদিন জমা থাকলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। আর ব্যাকটেরিয়া থেকে হতে পারে শিশুর ফুড পয়জনিং। তাই ঘরের খাবার যেন কোনোভাবেই দূষিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

আপনার শিশুর ফুড পয়জনিং হলো কিনা তা কিছু লক্ষণ দেখে সহজেই অনুমান করতে পারবেন। ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ হলো:

১. ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হবে।
২. বারবার বাথরুমে যাবে।
৩. শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
৪. ক্লান্তির ভাব আসবে।
৫. ডিহাইড্রেশনে পড়বে। এতে শিশু কোনো কাজে আগ্রহ পাবে না।
৬. কোনো খাবার খেতে চাইবে না। আবার খাবার খেলে সেই খাবার পেটে থাকতে চাইবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইরের খাবার শিশুকে না খাওয়ানোই ভালো। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। বাইরের খাবারে জীবাণু বেশি থাকে। তাই সহজেই শিশুরা এসব খাবার খেয়ে ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হতে পারে। ফুড পয়জনিং হলে যেহেতু শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়, তাই এ সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরলজাতীয় খাবার বা ফলের জুস শিশুকে খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে খাবার স্যালাইন পান করতে হবে।

যা করবেন
১.  দীর্ঘক্ষণ খোলা পড়ে থাকলে সেই খাবার শিশুকে খেতে দিবেন না।
২. ভালো করে হাত না ধুয়ে শিশুকে খাবার খাওয়াবেন না।
৩. ফল, সবজি ভালো করে ধুয়ে শিশুকে খেতে দেবেন।
৪. রান্না ও খাওয়ার পর বাসনপত্র ভালো করে ধুয়ে নিন।
৫. রান্নাঘরের নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা জিনিস ফেলুন।
৬. পানি থেকে রোগজীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। তাই পানি ভালো করে না ফুটিয়ে শিশুকে খাওয়াবেন না।
৭. শিশুদের খাবার বেশি দিন ফ্রিজে রাখবেন না। শিশুকে যত তাজা খাবার খাওয়ানো যায় তত ভালো।
৮. ঘর ও ঘরের মেঝে পরিচ্ছন্ন রাখুন। মেঝেতে খাবার যেন পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৯. মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো খাবার, প্যাকেটজাত খাবার শিশুকে খাওয়াবেন না।
১০. বেশি সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।