নিজ ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ বিলেও অনিয়ম করেছেন টিউলিপ

প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

আইনভঙ্গের দায়ে ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকী জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন।নিজের ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সনদ দেখাতে না পারায় ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১০ লাখ টাকারও বেশি।

 যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি বিষয়ক মন্ত্রী জরিমানা মুখোমুখি হতে পারেন। চলতি বছরের শুরুতে তার বিরুদ্ধে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছিল। মূলত একটি সম্পত্তি থেকে ভাড়া বাবদ আয় এক বছরের বেশি সময় অপ্রদর্শিত রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।

ভাড়া দেওয়া সব সম্পত্তির এনার্জি পারফর্মেন্স সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেটি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন টিউলিপ। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়ে রেখেছেন টিউলিপ ও তার স্বামী। পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনারের তদন্তে দেখা গেছে, একজন এমপি হিসেবে আর্থিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করেছিলেন টিউলিপ।

২০১৮ সালে ৮ লাখ ৮৫ হাজার পাউন্ড দিয়ে লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট কেনেন টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার স্বামী ক্রিস পার্সি। তবে তদন্তে দেখা গেছে, প্রায় ১৪ মাস অর্থাৎ এক বছরের বেশি সময় ধরে এ সম্পত্তি থেকে হওয়া আয় বা ভাড়া সঠিকভাবে ঘোষণা করেননি তিনি।

পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনার তদন্তে জানতে পেরেছে যে সংসদীয় নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। যদিও একে একটি ‘প্রশাসনিক ত্রুটি’ হিসেবে স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনারের কাছে এ নিয়ম লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা দিয়েছে টিউলিপ সিদ্দিক।

এর আগে বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত ও ঘুষ কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ২০১৫ সালে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটমের সাথে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুরে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্পের চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে মধ্যস্থতা করেছিলেন। বাজারদরের চেয়ে বেশি খরচের ওই চুক্তির মধ্য দিয়ে তিনি ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা) ‘আত্মসাত’ করেছেন।