দেশের সম্পূর্ণ উড়োজাহাজ ব্যবস্থায় নিরাপত্তা যাচাইয়ের নির্দেশ

প্রকাশিত: ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার ভয়াবহতম বিমান দুর্ঘটনার কারণ ও নিহতদের পরিচয় চিহ্নিত করতে কাজ করছেন তদন্তকারীরা। এর পাশাপাশি দেশের বিমান পরিচালনার সার্বিক ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে নিরীক্ষার জন্য সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আদেশ দিয়েছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মোক। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।  

সিউলে আয়োজিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে চোই বলেছেন, চূড়ান্ত ও আনুষ্ঠানিক ফল জানার আগেই, প্রয়োজনের নিহতদের স্বজনদের কাছে স্বচ্ছভাবে তদন্তের তথ্য প্রকাশের অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, পুনরুদ্ধার সম্পন্ন হতেই দেশের সার্বিক উড়োজাহাজ ব্যবস্থাপনাতে জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা নিরীক্ষা করে দেখার জন্য পরিবহন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬-এর এই দুর্ঘটনায় মাটিতে আছড়ে পড়া, রানওয়ে বরাবর পিছলে গিয়ে দেওয়ালে ধাক্কা খাওয়ার মুহূর্তে সৃষ্ট আগুন ও ধ্বংসাবশেষের দৃশ্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজে ১৭৫ জন যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। ছয় ক্রু মেম্বারের দুজনকে কেবল জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

চোই বলেছেন, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, জীবিত দুই ব্যক্তির চিকিৎসা করা।

সামরিক আইন প্রয়োগের জেরে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্থলাভিষিক্ত হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু। পরবর্তী সময়ে তার ওপরও আস্থা হারিয়ে অভিশংসন প্রস্তাব আনে বিরোধীরা। নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মোক কেবল তিন দিন আগে দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন।