ফের বাড়ছে পেঁয়াজের দাম প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৫ বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে এসেছিল। তবে সপ্তাহ পার হতে না হতেই পণ্যটির দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজির দাম নাগালের মধ্যেই আছে। অপরদিকে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া ও ফার্মগেটসহ রাজধানীর বেশকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার পর চড়া দাম কিছুটা কমে এসেছিল। কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার বাড়তে শুরু করেছে রান্নার এই প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজে ৬০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে। অথচ গত সপ্তাহেও দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকা ছিল। কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা ইয়াসিন মিয়া বলেন, পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বাড়ছে। কারণ আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে, আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ে। এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লতি ৫০-৬০ টাকা ও পটোল ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, ক্ষিরাই ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ ৩০, নতুন আলু ৪৫ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। সবজির দামে স্বস্তি ফিরলেও বাজারে এখনও মাছের দাম চড়া। সপ্তাহ ব্যবধানে আরো অস্থির ইলিশের বাজার। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু এ রুপালি মাছ। বাজারে গোলসা মাছ ৭০০ টাকায়, গরিবের পাঙাস মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশি কৈ ৮০০, চাষের কৈ ৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০, বাইম ৮০০, রুই মাছ আকৃতি ভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০, বড় কাতল মাছ ৪৫০, ছোট কাতল ৩৫০, কার্প মাছ ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০, তেলাপিয়া ২৩০, চিংড়ি ৮০০, মলা মাছ ৩৫০ টাকা এবং শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষের কারণে অস্থির হওয়া মুরগির বাজারে দাম কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। তবে এখনো চড়া এই বাজার। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়। দোকানগুলোতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। গত তিন সপ্তাহে চিকন চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৮ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭৬-৮০ টাকা, আটাইশ ৬২-৬৪ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। SHARES জাতীয় বিষয়: পেঁয়াজেরশীতকালীন