‘মিরপুরের উইকেটে পেসারদের ছক্কা মারা কঠিন’

প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৫

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সবসময় ছিলো টার্নিং উইকেট। এখানে পেস বোলারদের চেয়ে বারাবরই স্পিনারদের দাপট বেশি দেখা গেছে। তবে এবারের চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মিরপুরে দেখা যাচ্ছে পেস বোলারদের দাপট। মিরপুরে পেসারদের এখন ছক্কা মারাও কঠিন বলে মনে করছেন ইবাদত হোসেন।

মিরপুরে এবার আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের পেসাররা। ঢাকা পর্ব শেষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলারের তালিকায় রাজত্বও করছেন পেসাররা। তিন ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষে আছেন দূর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ।

তিন ম্যাচে ছয় উইকেট নেয়া নাহিদ রানা আছেন তিনে, দুই ম্যাচে ছয় উইকেট নেয়া আবু হায়দার রনি আছেন চারে। দেশি পেসারদের এমন পারফরম্যান্স মনে ধরেছে ইবাদতের। মিরপুরের উইকেটের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

ইবাদত বলেন, মিরপুরের উইকেটটি এমন যে ওখানে আপনি যদি হার্ড লেংথে বোলিং করেন তাহলে কেউ মারতে পারবে না। কারণ পেস এবং বাউন্স থাকে ওখানে। একই জায়গা থেকে আপনি স্লোয়ার বলও করতে পারবেন। ওখান থেকে মারাটা খুবই কঠিন। মিরপুরে আগে যে উইকেট থাকতো সেটা স্লো এবং লো থাকতো, এখন প্রচুর পেস হয়।

‘নাহিদ রানা ১৪০-৪৫ বোলিং করছে, তাসকিন আছে। আপনি যখন হার্ড লেংথে বোলিং করবেন তখন ওখানে হিট করে ছয় মারা কঠিন হবে। মিরপুরে আসলে এমন উইকেট খুব ভালো। এমন উইকেটে খেলতে পারলে নিজের কাছে ভালো লাগবে।’

বিপিএলে এবার ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলছেন ইবাদত। যদিও পাকিস্তানের দুই পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং ফাহিম আশরাফদের কারণে একাদশে সুযোগ পাওয়া হচ্ছে না তার। তবে অনুশীলনে তাদের সঙ্গে ঠিকই কথা হচ্ছে ইবাদতের। সুযোগ পেলেই নিজের সেরাটা নিঙরে দিতে চান তিনি।

এই পেসার আরো বলেন, আমরা তো একইসাথে বোলিং করছি দুজনই। শুধু শাহিন শাহ আফ্রিদি না, এখানে তো ফাহিম আশরাফও আছে। আলী মোহাম্মদ আছে। কথা হচ্ছে সবসময়। দেখেন টিম কম্বিনেশন পুরোটাই ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়কের ওপর। কম্বিনেশনের ওপর ভিত্তি করে যদি আমাকে নেয় তাহলে আমিও সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা করব।