মিসরের জন্য বরাদ্দ সামরিক সহায়তা লেবাননকে দেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৫ মিসরের সামরিক সহায়তার জন্য বরাদ্দকৃত সাড়ে নয় কোটি মার্কিন ডলার লেবাননকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট নথি যাচাই করে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। কংগ্রেসের কাছে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য অ-রাষ্ট্রীয় কর্মক ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বরের চুক্তির মাধ্যমে এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সহিংসতা বন্ধ রাখা হয়েছে। এই অবস্থা বহাল রাখার জন্য মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী। এই সিদ্ধান্তের মাত্র কয়েকদিন আগেই বাইডেন শিবিরের কয়েকজন ডেমোক্র্যাট মিসরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। দেশটিতে কয়েক হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে হেফাজতে রেখেছে সরকার। সামরিক সহায়তার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিসর দূতাবাসে যোগাযোগ করে সাড়া পায়নি রয়টার্স। গত সেপ্টেম্বরে মিসরের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সামরিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাইডেন প্রশাসনকে অভিযুক্ত করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির জন্য সাড়ে নয় কোটিসহ মোট ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছিল সেবারের প্যাকেজে। অবশ্য যাচাইকৃত নথিতে এমন কোনও প্রমাণ নেই, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে মিসরের জন্য বরাদ্দকৃত সাড়ে নয়কোটি ডলারই লেবাননকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা। তবে কংগ্রেসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, দুই ক্ষেত্রেই ডলারের সংখ্যা মিলে যাওয়াটা তার কাছে কোনও দৈব ঘটনা মনে হচ্ছে না। চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল মিসর। এছাড়া, হামাস ও তেল আবিবের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ এক মধ্যস্থতাকারী পক্ষও তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি অনুযায়ী, লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও পেশাদার করে গড়ে তোলা, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদ প্রতিহতকরণ ও সিরিয়ায় ক্ষমতার পটপরিবর্তনে সম্ভাব্য নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এই সহায়তা প্রদান করা হবে। ওই নথিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দকৃত নিরাপত্তা অংশীদার হচ্ছে লেবানন। বৃহত্তর লেভান্ত ও লেবাননের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি মার্কিন সমর্থন অব্যাহত থাকবে। লেবাননের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে হিজবুল্লাহর হস্তক্ষেপ নস্যাৎ করে সিরিয়ার ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা যেতে পারে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক ছিল এই হিজবুল্লাহ। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: ওয়াশিংটনেমানবাধিকারলেবানিজ