মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে পুনর্মিলনীর ইঙ্গিত নেইমারের

প্রকাশিত: ১:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৫

বার্সেলোনায় একসঙ্গে দারুণ সময় কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও নেইমার। এই তিনজন মিলে তিন মৌসুম বার্সাকে এনে দিয়েছেন সফলতাও। এরপর মেসি খেলেছেন নেইমারের সঙ্গে পিএসজিতে। তবে বর্তমানে নেইমার  সৌদি আরবে আর মেসি ও সুয়ারেজ খেলছেন একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। 

এই তিন খেলোয়াড়কে একসঙ্গে খেলতে দেখার আগ্রহের কমতি নেই ভক্ত ও সমর্থকদের মাঝে। মেসি-নেইমার একসঙ্গে খেললে এক কাতারে মিলিত হয় আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ভক্তরা। আর সুয়ারেজসহ খেললে ফিরে আসে বার্সেলোনার সোনালি সময়ের স্মৃতি। সম্প্রতি আবারও একসঙ্গে খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন নেইমার।

ব্রাজিলের এই তারকা জানিয়েছেন, তেমন কিছু হলে তা হবে ‘অবিশ্বাস্য’ এক পুনর্মিলনী।

এই ত্রিফলার একসঙ্গে ফুটবল মাঠের গল্পটা শুরু হয়েছিল ২০১৪ বিশ্বকাপের পর। এমএসএন ত্রিফলার গল্প শেষ হয়েছিল ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে। তিন ফুটবলারই একসঙ্গে খেলেছিলেন বার্সেলোনায়।

বার্সার অধ্যায় শেষ করে ফরাসি লিগে চলে যান নেইমার। এরপর সুয়ারেজ ও  মেসিকে ছেড়ে দেয় ক্লাবটি। ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে খেলার সময় ফের নেইমারকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন মেসি। এখন আবার মায়ামিতে সুয়ারেজকে পেয়েছেন মেসি। বর্তমানে নেইমার চুক্তির শেষদিকে আছে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে।

নেইমারের কি তাদের সঙ্গে কি খেলতে ইচ্ছে করে? সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই, মেসি আর সুয়ারেজের সঙ্গে খেলাটা হবে অবিশ্বাস্য কিছু। তারা আমার বন্ধু, আমরা এখনও একে অন্যের সাথে কথা বলি।’

মৌসুম শেষেই শেষ হতে যাচ্ছে আল হিলালের সঙ্গে নেইমারের চুক্তি। তবে সেখানে যে তিনি সুখে আছেন সেটিও নিশ্চিত করেছেন তিনি। যদিও তার কথায় স্পষ্ট ইন্টার মায়ামি থেকে প্রস্তাব পেলে খেলতে প্রস্তুত তিনি, ‘এই ত্রয়ীটাকে আবারও বাস্তবে রূপ দেওয়া গেলে বিষয়টা দারুণ হবে। আমি এখন আল হিলালে সুখে আছি, সৌদি আরবেও আনন্দে আছি। তবে কে জানে, ফুটবল তো অনেক বিস্ময় উপহার দেয়!’

২০২৩ সালে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন নেইমার। তার ইঙ্গিতও রয়েছে তার কথার মাঝেই, ‘যখন খবরটা জানলাম যে আমি পিএসজি ছেড়ে যাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রে দলবদলের উইন্ডো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমার সামনে সে সুযোগ ছিল না।’

তবে আল হিলালে এসেও বেশ সন্তুষ্ট নেইমার, ‘তারা আমাকে যে প্রকল্পটার প্রস্তাব দেখিয়েছে, তা বেশ ভালো ছিল। শুধু আমার জন্য নয়, আমার পরিবারের জন্যও। তো সৌদি আরবে আসাটা আমার জন্য ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।’