ফল উল্টে দিতে ‘অপরাধমূলক প্রচেষ্টা’ ছিল ট্রাম্পের: তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পরও ক্ষমতায় থাকার জন্য ‘অপরাধমূলক’ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের জয়ের কারণে তার বিরুদ্ধে আর আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। ইউএস স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ তার প্রতিবেদনে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, যা মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রকাশিত হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর ভোট সংগ্রহ ও প্রত্যয়নে বাঁধা প্রদানের জন্য একাধিক অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন স্মিথ।

মামলা লড়ার জন্য যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলেও ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয় বলে উপসংহার টেনেছেন স্মিথ।

এই তদন্ত পরিচালনার জন্য অনবরত ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য সহ্য করে গেছেন স্মিথ। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন বা অন্য কোনও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আমার তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তার এসব অভিযোগ হাস্যকর।

প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, স্মিথ একজন অপদার্থ প্রসিকিউটর, যিনি নির্বাচনের আগে মামলা শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডকে লেখা চিঠিতে স্মিথের প্রতিবেদনকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের ঠিক আগে দিয়ে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন প্রেসিডেন্সি হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

চিঠিটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করেছে বিচার বিভাগ। এছাড়া স্মিথের প্রতিবেদনের অধিকাংশ তথ্য উপাত্ত আগেই উন্মুক্ত করা হয়েছিল।

তবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নতুন কিছু জিনিস জানা গেছে। যেমন, ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য দেশদ্রোহ মামলায় ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রসিকিউটররা। তবে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে সেই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেন তারা।