গাজায় যুদ্ধবিরতি: অবশেষে মুক্ত হলেন তৃতীয় জিম্মি প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫ কিছুটা বিলম্বের পর তৃতীয় জিম্মিকেও মুক্তি দিল হামাস। গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩ জন জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। সেই শর্ত মোতাবেক কয়েক দফায় জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) তিন জিম্মিকে ছেড়ে দিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইয়ারডেন বাইবাস এবং ফরাসি-ইসরায়েলি ওফের কালডেরনকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে মানবাধিকার সংস্থা রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে হামাস। এরপর তাদেরকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কয়েকঘণ্টা পর গাজা সিটি সমুদ্রবন্দরে মার্কিন-ইসরায়েলি কিথ সিগেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ইয়ারডেন বাইবাস হচ্ছেন দুই কনিষ্ঠতম জিম্মির বাবা। তার ছেলে কাফির বয়স ছিল মাত্র ৯ মাস, যখন ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে হামাসের নেতৃত্বাধীন বন্দুকধারীরা তাদের অপহরণ করে। তার আরেক ছেলে অ্যারিয়েলের বয়স ছিল চার। হামাস ২০২৩ সালের নভেম্বরে দাবি করেছে, ওই দুই শিশু ও তাদের মা শিরি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। এরপর থেকে তাদের বিষয়ে আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তারা সবাই একই সঙ্গে অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। শনিবার ছেড়ে দেওয়া জিম্মিদের বিনিময়ে ১৮২ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েল মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে হামাস হামলা চালায়। ওই হামলায় এক হাজার ২০০ জন নিহত ও অন্তত ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি করে আসছে ইসরায়েল। হামলার জবাবে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে তেল আবিব। প্রায় ১৫ মাসের আগ্রাসনে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে। ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হওয়ার কথা। এই ধাপে অবশিষ্ট সমস্ত জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা আরও ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে টেকসই শান্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজার পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হবে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: অনুযায়ীমানবাধিকারহামাস