শবে কদরে আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব রহমত নাজিল হয়

প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৫

পবিত্র রমজান মাসের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মহিমান্বিত রজনী হলো লাইলাতুল কদর, যা শবে কদর নামেও পরিচিত। এই রাতের পুণ্য, বরকত এতটাই বিশাল যে, পবিত্র কোরআনুল কারিমে এ সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা অবতীর্ণ হয়েছে। সূরাটির নাম সূরা আল-কদর।  

শবে কদরের ফজিলত ও মাহাত্ম্য

পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে— নিশ্চয় আমি কোরআন শরিফ কদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা কদর, আয়াত : ১)

এই আয়াতের মর্ম হল—  কোরআন শরিফ লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশে এ রাতে অবতীর্ণ করা হয়েছে। এই একটি মাত্র বিষয়ই এ রাতের ফজিলতের জন্য যথেষ্ট ছিল যে, আল-কোরআনের মতো মর্যাদাবান ঐশীগ্রন্থ এ রাতে অবতীর্ণ হয়েছে। এই রাতের মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের জন্য অন্য কোনো ফজিলত ও বরকতের প্রয়োজন ছিল না। তদুপরি, পরবর্তী আয়াতে আগ্রহ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ইরশাদ হয়েছে— আপনি কি অবগত আছেন যে, কদরের রাত কত মর্যাদা সম্পন্ন রাত? (সূরা কদর, আয়াত : ২)

অর্থাৎ, এ রাতের মাহাত্ম্য ও ফজিলত সম্পর্কে আপনি কি অবগত রয়েছেন যে, এ রাতের কতটুকু কল্যাণ ও কী পরিমাণ ফজিলত রয়েছে? অত:পর, এ রাতের ফজিলতের বিবরণ আলোচিত হয়েছে— শবে কদর হল হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এর মানে হলো—যে ব্যক্তি শবে কদরে ইবাদত করবে, সে তিরাশি বছর চার মাসের চেয়েও অধিক সময় ইবাদত করার সওয়াব পাবে। এই রাতটি এমন এক অপার মহিমা ও অফুরন্ত বরকতের রাত, যার পুণ্য ও সওয়াব সাধারণ ইবাদতের তুলনায় অধিক, সীমাহীন মর্যাদাসম্পন্ন ও অতুলনীয় মহাত্মায় পরিপূর্ণ।