১২ দেশের নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রকাশিত: ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৫ যুক্তরাষ্ট্রে ১২টি দেশের নাগরিকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৪ জুন) এ সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। বিদেশি সন্ত্রাসী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা হুমকি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পদক্ষেপটি জরুরি ছিল বলে দাবি করেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেছেন, আমাদের ক্ষতি করতে চায় এমন কাউকে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে দেওয়া হবে না। (নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের) তালিকায় প্রয়োজনে পরিমার্জন এবং নতুন দেশের নাম যোগ করা হতে পারে। নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, শাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। এছাড়া আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজ প্রথম এই নিষেধাজ্ঞার খবর প্রচার করে। নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশে বলা হয়, আগামী ৯ জুন স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর হবে। তবে, ওই নির্ধারিত সময়ের আগে অনুমোদিত ভিসা বাতিল করা হবে না। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সাতটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, যা কয়েক ধাপে পরিবর্তনের পর ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ মার্কিন আদালত অনুমোদন করে। পরবর্তীতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেন। সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলোতে সন্ত্রাসীদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ওই দেশগুলোর ভিসা নিরাপত্তায় সহযোগিতা না করা, পর্যাপ্ত তথ্য যাচাইয়ের অক্ষমতা, অপরাধমূলক ইতিহাসের রেকর্ড রাখার ঘাটতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা অতিরিক্ত সময় থাকার উচ্চ হার রয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইচ্ছুকদের পুরোপুরি যাচাই করতে না পারলে যে কোনও দেশ থেকে অভিবাসন আমরা উন্মুক্ত করতে পারি না। তার এই নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে সর্বশেষ এক হামলার ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। রবিবার কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ইসরায়েলপন্থি এক মিছিলে ভিড়ের ওপর গ্যাসোলিন বোমা ছুঁড়ে মারেন এক ব্যক্তি। অভিযুক্তের নাম মোহাম্মদ সাবরি সোলিমান এবং তিনি মিসরের নাগরিক। সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, শ্রম ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন সোলিমান। তবে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, মিসরীয় নাগরিকের ঘটনা দিয়ে নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করলেও, ট্রাম্পের তালিকায় নেই মিসরের নাম। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: ডোনাল্ডপ্রেসিডেন্টযুক্তরাষ্ট্রে