প্রেসিডেন্টের দায়িত্বকালীন বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তার অভিযোগ, বাইডেনের সহকারীরা সাবেক প্রেসিডেন্টের মানসিক দুর্বলতা গোপন রেখেছিলেন এবং অটোপেন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। বুধবার (৪ জুন) এক প্রেসিডেনশিয়াল আদেশে এই তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা ডেভিড ওয়ারিংটন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, বাইডেনের মানসিক অবস্থার বিষয়ে জনসাধারণকে প্রতারিত করার ষড়যন্ত্রে কয়েকজন ব্যক্তি লিপ্ত ছিলেন এবং তারা অসাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন।

এতে আরও অভিযোগ করা হয়, বাইডেনের সহকারীরা তার স্বাক্ষরের জন্য অটোপেন ব্যবহার করে ‘প্রেনিডেন্টের  ক্ষমতা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ব্যবহার করেছেন’।

ট্রাম্প বলেন, এই ষড়যন্ত্র মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও উদ্বেগজনক কেলেঙ্কারির একটি।

৮২ বছর বয়সী বাইডেন এসব অভিযোগকে ‘উদ্ভট’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এটি ধনীদের জন্য ট্যাক্স ছাড় বাড়াতে নেওয়া বিল থেকে জনমনোযোগ সরানোর জন্য ট্রাম্পের একটি কৌশল।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আমার শাসনামলে ক্ষমার আদেশ, নির্বাহী আদেশ, আইন ও ঘোষণাপত্রগুলো আমি নিজেই করেছি। এর অন্যথা ভাবা একেবারেই মিথ্যা।

বাইডেনের সহকারীরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের দলিলে স্বাক্ষরের জন্য অটোপেন ব্যবহারের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে বহুদিন ধরেই বৈধ পদ্ধতি হিসেবে গৃহীত। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, মার্কিন বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন ধরেই অটোপেন ব্যবহারকে বৈধ স্বাক্ষর হিসেবে মেনে আসছে।

২০২৪ সালের নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্প বারবার বাইডেনকে ‘মানসিকভাবে অক্ষম’ দাবি করে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে অযোগ্য বলে অভিযুক্ত করেছিলেন। যদিও বাইডেনের প্রশাসন এসব অভিযোগকে বারবার নাকচ করেছে, তবে এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে তার দুর্বল পারফরম্যান্স জনমনে প্রশ্ন তৈরি করে এবং পরে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

বাইডেন তার ভাই ও বোনদের ক্ষমা করে দিয়ে ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে তাদের রক্ষা করতে চেয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। ট্রাম্প এখনও ২০২০ সালের নির্বাচনে তার পরাজয়কে ‘কারচুপির ফল’ বলে দাবি করে আসছেন।