ইরানের হামলায় কতটা সুরক্ষিত ইসরায়েলিরা

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২৫

ইসরায়েলের হামলায় এখনো পর্যন্ত ইরানের ২২৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলিদের মৃত্যু সংখ্যা ১৯। হতাহতের এই বৈপরীত্যে অনেকেরই জিজ্ঞাসা, ইরান ক্রমাগত হামলা চালালেও ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি কম কেন?

নিজেদের সুরক্ষার জন্য ইসরায়েল কী ব্যবস্থা নেয় তার একটা ধারণা দিয়েছেন হারেৎজ সংবাদপত্রের ইসরায়েলি সাংবাদিক গিডিয়ন লেভি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে তিনি জানিয়েছেন নিজেদের সুরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে।

লেভি বলেন, ‘প্রথমত, (ইসরায়েলে) অ্যালার্ম সিস্টেমটি খুব ভালোভাবে কাজ করছে। এবার, সাইরেনের অনেক আগে আমরা অ্যালার্ম পাই। আমরা নিজেদের প্রস্তুত করতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, তেল আবিবের বেশিরভাগ অংশে অনেক আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সমস্ত নতুন ভবনের নিজস্ব আশ্রয়কেন্দ্র এবং নিরাপদ ঘর রয়েছে। সুতরাং, এই দিক থেকে, আপনার মনে হবে যে জনগণ সুরক্ষিত।’

তবে, এটি এটি ইসরায়েলের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে সত্য নয়। যেমন, বেদুইন বা ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকরা কিন্তু এই সুরক্ষা পায় না। উত্তর ইসরায়েলের প্রধানত ফিলিস্তিনি শহর তামরা; ৩৫ হাজার জনগোষ্ঠীর এই শহরে রবিবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে চারজন মারা গেছে,, সেখানে কোনো বোমা আশ্রয়কেন্দ্র নেই। লেভি এমনটাই জানিয়েছেন।

অপরদিকে, তার পাশের ১ হাজার বাসিন্দার ইহুদি গ্রামেই বেশ কয়েকটি বোমা থেকে বাঁচার আশ্রয়কেন্দ্র আছে। লেভি বলেন, ‘আমি মনে করি এই ধরনের (ইরানের হামলার মতো) রাত যত বেশি হবে, ইসরায়েলিরা কেবল ক্লান্ত এবং ভীত হতেই শুরু করবে না, বরং অবশেষে আমরা জিজ্ঞাসা করতে শুরু করব, এটাতে কি কোনো লাভ হচ্ছে? আর আমরা কোথায় যাচ্ছি? যুদ্ধ থেকে যুদ্ধে? বোমাবর্ষণ থেকে বোমাবর্ষণ? কারণ এবার (ইরানের ঘটনা) গাজার মতো নয়, লেবাননের মতো নয়, বেসামরিক জনগণের জীবনের মূল্য আগের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। তাই ইসরায়েল এটা কয়েক দিনের জন্যই নিতে পারবে। দীর্ঘ সময়ের জন্য এটা (হামলার ধকল) নিতে পারবে না।’