নির্বাচনের প্রস্তুতি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে: ইসি সচিব !

প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বর্তমানে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংকালে বাসস-এর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।

নির্বাচন প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “শতকরা হিসেবে বললে বলা যায়, আমরা এখন প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রস্তুত। রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া এই সপ্তাহেই শেষ হলে প্রস্তুতি শতভাগে পৌঁছাবে।”

তিনি আরও জানান, কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী দুটি বিষয়ে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে— রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন। “২২টি রাজনৈতিক দলকে আমরা প্রাথমিকভাবে বিবেচনাযোগ্য হিসেবে দেখেছি। মাঠপর্যায়ে তাদের অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করছি, ইনশাআল্লাহ এই সপ্তাহের মধ্যেই সবকিছু সম্পন্ন হবে,” বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, “হ্যাঁ, আমরা অল্প কিছুটা পিছিয়ে আছি, তবে এতে উদ্বেগের কিছু নেই। ইনশাআল্লাহ অবশিষ্ট সময়ের মধ্যেই সবকিছু কভার করতে পারব।”

পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, “দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চলছে। কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দেওয়া তথ্য ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। আশা করছি, এই সপ্তাহেই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রমও শেষ হবে।”

আরপিও সংশোধনে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, “বিষয়টি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে আছে, কমিশন পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”

আরপিও সংশোধনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ বিষয়ে তিনি বলেন, “সংশোধনের আগে কমিশন দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো বিরোধপূর্ণ বিষয় দেখা যায়নি।”

তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবগুলো পাঁচটি দিক থেকে পর্যালোচনা করেছে— যেগুলো স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য, যেগুলো ভাষাগত বা সংখ্যাগতভাবে সামান্য সংশোধনের প্রয়োজন, যেগুলো রাজনৈতিক ঐক্যমত ছাড়া সম্ভব নয়, যেগুলো বিদ্যমান আইনে ইতোমধ্যে নির্ধারিত, এবং যেগুলো কমিশনের নিজস্ব বিবেচনায় সংশোধনযোগ্য বলে মনে হয়েছে। এই পাঁচটি দিক বিবেচনা করেই প্রস্তাবটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হয় এবং তারা নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছেন।

এনসিপির প্রতীক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, “কমিশন ইতোমধ্যেই তাদের অবস্থান জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো বিকল্প প্রস্তাব কমিশনের কাছে আসেনি। কমিশনের আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে— তারা সহবিবেচনায় একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে, এবং সেটিই বর্তমানে কমিশনের অবস্থান।”