ঢাকায় হবে ন্যাপ সম্মেলন, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৪

এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান বা ন্যাপ এক্সপো-২০২৪। আগামী ২২ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই ন্যাপ এক্সপোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ন্যাপ এক্সপো একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম। যেখানে বিভিন্ন দেশ, সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা ন্যাপ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।

বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা, সর্বোত্তম অনুশীলন, বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, চাহিদা এবং ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিভিন্ন দেশের ন্যাপগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি মূল্যায়ন করার সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপদাপন্ন দেশগুলোর ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য জিসিএফসহ আন্যান্য জলবায়ু তহবিল হতে অর্থায়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে এটি একটি গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম।

এই এক্সপো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত গ্যাপ ও চাহিদা চিহ্নিত করতে প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করা হবে। ন্যাপ এক্সপো-২০২৪ এ বাংলাদেশ বিভিন্ন সেশন আয়োজন করবে। এর মধ্যে ‘মোবিলাইজিং ডোমেন্টিক ক্লাইমেট ফাইন্যান্স: এক্সপেরিএন্স অব বাংলাদেশ সেশনে নিজস্ব জলবায়ু ফান্ড বা ট্রাস্ট ফান্ড’ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।

সেখানে আরও বলা হয়, ‘এডভান্সমেন্টট অব ন্যাশনাল ক্লাইমেট প্ল্যানস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেশনে বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বিষয়ে সামগ্রিক আলোচনা করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২২-২০৫০ প্রণয়ন করেছে এবং তা ২০২২ সালের অক্টোবরের ইউএনএফসিসিসি’তে দাখিল করেছে। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় ১১টি ক্লাইমেট স্ট্রেসড এরিয়াতে ৮টি ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরের জন্য ১১৩টি অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী ২৭ বছরে, অর্থাৎ ২০৫০ সাল পর্যন্ত সময়ে ন্যাপ-এ গৃহিত কর্মপরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে।

এ সম্মেলনে মোট ২০টি স্টল থাকবে যেখানে বিভিন্ন দেশের অভিযোজনমূলক কর্মকাণ্ড প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও, ৪ দিনে ১৬টি সেশনে বিশেষজ্ঞরা ট্রান্সফরমেশনাল এডাপটেশন, ফিনান্সিয়াল মেকানিজম, এডাপ্টেশন একটিভিটি মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন টুলস জেন্ডার রেস্পন্সিভ এডাপটেশন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করবেন। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ করা ১০টি স্থালে রেইন ওয়াটার হার্ভেন্টিং, পাহাড়ি অঞ্চলে সোলার এনার্জির মাধ্যমে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা, জলবায়ু সহিষ্ণু বীজ, প্রাণিসম্পদ সংরক্ষণ এবং অন্যান্য কৃষি কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়, অভিযোজন কর্মকাণ্ডের সমর্থনে ডেল্টা প্ল্যানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সাইক্লোন সেপ্টার, মুজিব কিল্লা, রাস্তাঘাট, কালভার্ট নির্মাণ, জলবায়ু সহিষ্ণু নগর ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু উদ্বাস্তুসহ জলবায়ু অভিযোজনের নানা বিষয় প্রদর্শন করা হবে।

এ এক্সপোতে দেশের জলবায়ু অভিযোজন প্রদর্শনের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ; স্থানীয় সরকার, বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয় অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও এনজিওগুলো এই এক্সপোতে অংশ নেবে।