পোনা উৎপাদনেই অনাগ্রহ, রোগমুক্ত চিংড়ি চাষের প্রসার নেই

প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

দেশে রোগবালাইমুক্ত চিংড়ির পোনা (এসপিএফ) উৎপাদন ও চাষ সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা চলছে প্রায় এক দশক ধরে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে এসপিএফ হ্যাচারি ও নার্সারি তৈরির কাজও চলমান। প্রকল্পের আওতায় ক্লাস্টার পদ্ধতিতে দেশের বিভিন্ন এলাকার চাষিদের ঘেরে চলছে এসপিএফ চিংড়ির চাষ। তবে যে হ্যাচারিগুলোকে এসপিএফ হ্যাচারিতে পরিণত করা হয়েছে, তারাই এখন এসপিএফ চিংড়ির পোনা উৎপাদনে উৎসাহ দেখাচ্ছে না। ফলে চাষিরাও এখন এসফিএফ পোনা পাচ্ছেন না। দেশে এসপিএফ চিংড়ি চাষেরও প্রসার ঘটছে না।

চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে মা চিংড়িকে বলা হয় ‘ব্রুডস’। মা চিংড়ি ডিম ছাড়ার পর সেই ডিম ফুটলে তাকে বলা হয় ‘নপ্লি’। ২২ থেকে ২৪ দিন পর ওই ‘নপ্লি’ থেকেই চিংড়ির পোনা হয়। পিএল হচ্ছে পোস্ট লার্ভা, যা চাষিদের ঘেরে ছাড়া হয়। এগুলোর মধ্যে ব্রুড ম্যানেজম্যান্ট সেন্টার (বিএমসি) থেকে সরবরাহ করা হয় ব্রুডস ও নপ্লি। পিএল সরবরাহ করা হয় হ্যাচারি থেকে। নার্সিং পয়েন্ট পিএল নার্সিং করে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করে।

দেশে চিংড়ির উৎপাদন বাড়াতে রোগমুক্ত চিংড়ির পোনা তথা এসপিএফ চাষ প্রসারের অংশ হিসেবে সরকারি সহায়তায় উদ্যোক্তাদের সাধারণ হ্যাচারিকে স্পেসিফিক প্যাথোজেন ফ্রি (এসপিএফ) হ্যাচারিতে উন্নীত করা হচ্ছে, নার্সারি ও নার্সারি পয়েন্টগুলোকেও এসপিএফে উন্নীত করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে তিনটি বিএমসি, পাঁচটি হ্যাচারি এবং আটটি নার্সারি ও নার্সারি পয়েন্টকে এসপিএফ হিসেবে উন্নীত করা হয়েছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় চলমান এ প্রকল্পের অধীনে যেসব বিএমসি, হ্যাচারি ও নার্সারিকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে তারাই এখন এসপিএফ চিংড়ির পোনা উৎপাদনে তেমন আগ্রহী নয়। সব মিলিয়ে ১৬টি বিএমসি, হ্যাচারি, নার্সারি ও নার্সিং পয়েন্টের মধ্যে এ বছর এখনও এসপিএফের কার্যক্রমই শুরু করেনি ১২টি প্রতিষ্ঠান।প্রতিষ্ঠাগুলো বলছে, এ বছর তারা এখনো এসপিএফের কার্যক্রম শুরু করেনি। কেউ কেউ বলছে, তারা ব্রুডস ও নপ্লি পায়নি। হ্যাচারি ও নার্সিং পয়েন্টগুলো এখনো নপ্লি ও পিএল সরবরাহ শুরু করেনি। কেউ কেউ জানিয়েছেন, সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ হলে এসপিএফ চিংড়ির পোনা উৎপাদন শুরু হবে।