ডেরিভেটিভ পণ্য ঝুঁকি হ্রাসের কার্যকর হাতিয়ার: ডিএসই এমডি

প্রকাশিত: ২:১৯ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২৪

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেছেন, আর্থিক খাতের ডেরিভেটিস পণ্য বাংলাদেশের জন্য খুবই সময়োপযোগী। ডেরিভেটিভ পণ্যগুলো অত্যন্ত পরিশীলিত পণ্য এবং ঝুঁকি হ্রাসের জন্য একটি কার্যকর হাতিয়ার যা পুঁজিবাজারের তারল্য প্রবাহ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর দক্ষতা প্রদান করে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।

তিনি বলেন, ডিএসই তার পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ আনতে আগ্রহী। আমরা নিয়ম ও বিধি প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি এবং খুব শিগগিরেই ডেরিভেটিভ মার্কেট শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছি।

গাজীপুরের ব্র্যাক সিডিএমে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘ফিন্যান্সিয়াল ডেরিভেটিভস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড প্লাটফর্ম’ শীর্ষক কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডিএসই কর্তৃক আয়োজিত বিএসইসি, সিডিবিএল, সিসিবিএল, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং এ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের অংশগ্রহণে গত ২ ও ৩ মে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম।

ডিএসইর এমডি ড. তারেক বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ উন্নত স্টক এক্সচেঞ্জের বিভিন্ন ধরনের ডেরিভেটিভস পণ্য রয়েছে। ডেরিভেটিভ মার্কেটের আকার ইক্যুইটি বাজারের তুলনায় বহুগুণ বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশী এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য পণ্যের বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে তার পার্শ্ববতী এক্সচেঞ্জের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কাজ করছে। এছাড়া আরো কিছু আইন, টেকনিক্যাল এবং অবকাঠামো বিষয়সহ বেশ কিছু কাজ করতে হবে। তবে এর বাইরেও আরো গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় ট্রেনিং এবং আলোচনা যা আমরা করছি। এর মাধ্যমে এই পণ্য সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো। এই ধরনের ট্রেনিং প্রোগ্রাম অব্যাহত থাকবে যাতে করে আমরা ডেরিভেটিবস পণ্য খুব দ্রুত বাজারে চালু করতে পারি।

কর্মশালার উদ্দেশ্য নিয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন কাজ শুরু করি তখন আমাদের এই মার্কেট খুবই ছোট ছিল। সে সময় আন্তর্জাতিক অনেক বড় মার্কেট দেখার সুযোগ হয় তার তুলনায় এই মার্কেট কিছুই ছিল না। তখন ভাবতাম এবং আশা করতাম যে আমাদের পুঁজিবাজার বড় হবে। কিন্তু এখনও বড় হয়নি। বাজার এখনো শিশু অবস্থায় রয়ে গেছে। মার্কেট এই অবস্থা হওয়ার কারণ হচ্ছে, আমাদের মার্কেটে পণ্য কম, ইক্যুইটি কেন্দ্রিক বাজার। এখানে বিনিয়োগের নতুন কোন ক্ষেত্র নেই এবং নতুন কোন পণ্য নেই। ফলে দেশে দেশী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে। এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মিলে ডেরিভেটিভস পণ্য চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এই পণ্য চালুকরণে টেকনিক্যাল ও অবকাঠামো তৈরিতে কাজ করবে।