অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি আরব আমিরাতের

প্রকাশিত: ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মে ৮, ২০২৪

দুই দেশের মধ্যে গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।

মঙ্গলবার (৭ মে) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ড. থানি বিন আহমেদ আল জাইউদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।বৈঠকে পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারে উভয় দেশের অভিন্ন প্রত্যাশার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিমান চলাচল, অবকাঠামো নির্মাণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য নতুন প্রযুক্তির উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে জ্বালানি সুরক্ষাসহ সহযোগিতার নতুন এবং উদীয়মান ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণের উপর জোর দেন।১৩তম এআইএম (বার্ষিক বিনিয়োগ সভা) কংগ্রেস-২০২৪ এ যোগ দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে দেশটিতে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাডাপ্ট টু এ শিফটিং ইনভেস্টমেন্ট ল্যান্ডস্কেপ : হার্নেসিং নিউ পটেনশিয়াল ফর গ্লোবাল ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’। অর্থমন্ত্রী আজ সকালে কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং অন্যান্য কয়েকটি অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে দুই মন্ত্রী যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিল সক্রিয় করার এবং নিকট ভবিষ্যতে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) সমাপ্ত করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ করতে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ এডিএফডি (আবুধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

দ্বিপক্ষীয় বিষয় ছাড়াও, মন্ত্রীরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা করেন, অভিন্ন সংকট মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন প্রচারের জন্য বহুপক্ষীয় সহযোগিতা ও সমন্বয়ের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর এবং ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রীকে তার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহায়তা করেন।