তিস্তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেল প্রকাশিত: ২:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৪ ছবিতে বাঁ দিক থেকে ইমতিয়াজ আহমেদ, সাইফুল আলম ও মাহমুদুর রহমান মান্না • ‘বড় কিছু হয়েছে বলা মুশকিল’ • ‘খুব বড় কিছু আমরা দেখিনি’ • ‘বাংলাদেশের স্বার্থের কথা আছে বলে মনে হয়নি’ এক পক্ষকালের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ৮ জুন ভারতে যান তিনি। তিনদিনের সফর শেষে দেশে ফিরেন ১০ জুন। এর ঠিক ১১ দিনের মাথায় ২১ জুন দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ফের ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে দেশে ফেরেন ২২ জুন। বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফরটি ঘিরেই সব আলোচনা। এ সফরে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন ও স্বার্থ সুরক্ষা কতটুকু হলো, এ নিয়ে চলছে চুলচেলা বিশ্লেষণ। বিএনপিসহ সমালোচকরা বলছেন, প্রাপ্তির কিছুই নেই। এখানে সরকার তেমন সফলতা দেখাতে পারেনি। তবে আওয়ামী লীগের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সফরে বড় আকারে প্রাপ্তির কিছু নেই। শুধু বন্ধুত্বের জানান দেওয়া হলো। তিস্তার পানিবণ্টনও যে হচ্ছে না, এ বিষয়টিও পরিষ্কার হয়ে গেছে। বরং এ নিয়ে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে গত শুক্রবার (২১ জুন) রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি যান শেখ হাসিনা। দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফেরেন শনিবার (২২ জুন)। এ সফরে দুদেশের মধ্যে ১০টি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এ সফরে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল যোগাযোগ স্থাপন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বাংলাদেশের কাছ থেকে রেল ট্রানজিট চায় ভারত। এছাড়া তিস্তা প্রকল্পে অংশগ্রহণের প্রস্তাবও দিয়েছে প্রতিবেশী দেশটি। শুধু তা-ই নয়, এ নিয়ে ঢাকায় কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়েও সায় দিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে আগামী মাসেই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল চলবে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত বক্তব্য আসেনি। রেল ট্রানজিটের শর্তগুলোও উঠে আসেনি। এ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারত সফরে নিজেদের অধিকার, আন্তর্জাতিক আইনের অধিকারের কথাগুলো বলতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ভারতের কাছে সরকার সেবাদাসে পরিণত হয়ে গেছে। শুধু ভারত নয়, আশপাশের সব প্রতিবেশী দেশের কাছে তারা পুরোপুরি মাথা নিচু করে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে, জবাবটাও পর্যন্ত তারা দিতে পারে না। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ফলপ্রসূ দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে কৌশলগতভাবে সম্পর্ককে জোরদার করতে হবে। শেখ হাসিনা এ সফরে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ। SHARES জাতীয় বিষয়: তিস্তারপ্রধানমন্ত্রীসফর