যে কারণে কমোডের ঢাকনা খুলে গোসল করা উচিত না

প্রকাশিত: ২:০৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৪

যতই পরিষ্কার করা হোক না কেনো, বাথরুম বা টয়লেট দেখতে ঝকমকে লাগলেও জীবাণুর বিস্তার এই জায়গা থেকেই বেশি হওয়া সম্ভব।

যে কারণে কমোডের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ফ্লাশ করতে পরাশর্ম দেওয়া হয়। না হলে পানির তোড়ে জীবাণু ও ক্ষতিকর কণা বাতাসে উড়ে উড়ে বাথরুমে রাখা টুথব্রাশ-সহ নানান জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

তবে গোসল করা বা শাওয়ার নেওয়ার সময় যদি কমোডের ঢাকনা খোলা থাকে তাহলেও কী জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে? কারণ গোসলের সময় পানি ছিটে কমোডের মধ্যে তো পড়েই।

সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা টিকটিকে ভিডিও দিয়ে টরোন্টো নিবাসী ক্রিস্টিনা এনগুয়েন দাবি করেন- শাওয়ার নেওয়ার সময় বাথরুমে যে বাষ্প ও পানির কণা ছিটতে থাকে সেটার মাধ্যমে কমোডের জীবাণু সারা জায়গায় ছড়িয়ে পড়া ছাড়াও ত্বকেও লাগে। যে কারণে ব্রণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ক্রিস্টিনা আরও বলেন, এই কারণেই নাকি তার কপালে ব্রণ দেখা দিচ্ছে।

বিষয়টা কতটুকু সঠিক?

এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নিউ ইয়র্ক সিটি’র নিবন্ধিত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ব্রেন্ডান ক্যাম্প বলেন, “টয়লেটের মধ্যে যেসব অনুজীব পাওয়া যায় সেগুলো সাধারণত হজমতন্ত্র বা পেটে বাস করতে পারে এরকম জীবাণু। যেমন- ই.কোলি ব্যাক্টেরিয়া; যেটার কারণে ডায়রিয়া বা খাবারে বিষাক্ততা তৈরি করে।”

রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিদনে তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের জীবাণু ব্রণ তৈরিতে কোনো ভূমিকা রাখে না।”

যদি কারও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয় সেটা হতে পারে নিয়মিত ত্বক পরিচর্যার অভাব বা সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া হচ্ছে না। আবার শারীরিক অনেক কারণেও ব্রণ উঠতে পারে।

তাই কমোডের ঢাকনা খোলা বা বন্ধের সাথে ব্রণ ওঠার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সঠিক পরিচর্যা এবং বেঞ্জোয়েল পারোঅক্সাইড ও হাইপোক্লোরাস অ্যাসিড সমৃদ্ধ ব্যাক্টেরিয়া রোধী প্রসাধনী ব্যবহারে ব্রণের উপকার পাওয়া যায়- জানান এই চিকিৎসক।

তবে অবশ্যই ঢাকা অবস্থায় কমোড ফ্লাশ করা নিরাপদ।

একই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পরিষ্কার-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘গ্রোভ কালেক্টিভ’য়ের বিশেষজ্ঞ ক্যারিলানি ব্রাউন ‘ইউনিভার্সিটি অফ ওকলাহামা কলেজ অফ পাবলিক হেল্থ’য়ের করা গবেষণার ভিত্তিতে বলেন, “কমোডের সিট ও ঢাকনা ওঠানো থাকা অবস্থায় ফ্লাশ করলে যত রকম অণুজীব আছে সেগুলো গুলির মতো ছুটে গিয়ে বাতাসে ভাসতে ভাসতে বাথরুমের নানান জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি টুথব্রাশেও।”

তাই পরিষ্কার থাকার অভ্যাসের মধ্যে সপ্তাহে একবার জীবাণুনাশক দিয়ে পুরো বাথরুম ধোয়ার পাশাপাশি গোসল করা ও ফ্লাশ করার সময় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখার অভ্যাস গড়তে হবে।