সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৪ আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আর তিন মাস পর পর দিতে হবে অগ্রগতি রিপোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে, সোমবার হাইকোর্টের এই বেঞ্চে দুর্নীতি রোধে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়। সম্প্রতি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটির সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। সরকারি চাকরি করে তারা কিভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করলেন তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। সরকারি চাকরিজীবীদের আয়–ব্যায়ের হিসাব একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর দাখিলের নিয়ম থাকলেও তা তেমন একটা মানা হয় না বলে অভিযোগ আছে। সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের কথা উঠে আসলে দেশজুরে আলোড়ন তৈরি হয়। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, পাঁচ তারকা হোটেলের শেয়ার, গাজীপুর, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে। এ অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরুর প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই পরিবারসহ দেশ ছাড়েন বেনজীর। আদালতের আদেশে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা নানা সম্পদ ক্রোক করেছে সরকার। পুলিশ প্রধান বেনজীরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এছাড়াও এনবিআরের ১ম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধেও নামে-বেনামে সম্পদ থাকার তথ্য জানা যায়। এরই মধ্যে আদালত তার সব সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছে। SHARES জাতীয় বিষয়: নির্দেশনাপ্রকাশের
আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আর তিন মাস পর পর দিতে হবে অগ্রগতি রিপোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে, সোমবার হাইকোর্টের এই বেঞ্চে দুর্নীতি রোধে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়। সম্প্রতি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটির সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। সরকারি চাকরি করে তারা কিভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করলেন তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। সরকারি চাকরিজীবীদের আয়–ব্যায়ের হিসাব একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর দাখিলের নিয়ম থাকলেও তা তেমন একটা মানা হয় না বলে অভিযোগ আছে। সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের কথা উঠে আসলে দেশজুরে আলোড়ন তৈরি হয়। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, পাঁচ তারকা হোটেলের শেয়ার, গাজীপুর, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে। এ অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরুর প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই পরিবারসহ দেশ ছাড়েন বেনজীর। আদালতের আদেশে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা নানা সম্পদ ক্রোক করেছে সরকার। পুলিশ প্রধান বেনজীরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এছাড়াও এনবিআরের ১ম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধেও নামে-বেনামে সম্পদ থাকার তথ্য জানা যায়। এরই মধ্যে আদালত তার সব সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছে।