সোমবার চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয় প্রকাশিত: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২৪ চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সইসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘোষণা আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরে বিনিয়োগ, আঞ্চলিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গাসহ নানা ইস্যু আলোচনা হবে। তবে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কোনো কথা হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী ৮ জুলাই চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছবেন। ৯ জুলাই তিনি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১০ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একইদিন চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়নার প্রেসিডেন্ট ঝাও লেজির সঙ্গেও বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এছাড়া চীন সফরে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছে। তারা সেখানে চীনা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এই সফরে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার থাকবে বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে। সে ক্ষেত্রে চীনা মুদ্রায় ঋণ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন উদ্যোগের মতো বিষয়গুলোতে চীনের অংশীদারত্ব গুরুত্ব পাবে। বেইজিং নিজেদের মুদ্রায় বাংলাদেশকে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে আগ্রহী। যদিও বাংলাদেশ চেয়েছিল ৭০০ কোটি ডলার। ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি সই হচ্ছে না। বিভিন্ন বিষয়ে সই হবে মূলত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও সমজাতীয় দলিল। দুই দেশ নতুন ও নবায়ন মিলিয়ে অন্তত ১৫ এমওইউ সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতিমালা, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিনিয়োগে সহায়তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা, চীন-বাংলাদেশ ষষ্ঠ মৈত্রী সেতুর সংস্কার, চীন-বাংলাদেশ ষষ্ঠ মৈত্রী সেতু নির্মাণ, ব্রহ্মপুত্রে পানিপ্রবাহের আগাম তথ্য সরবরাহ, আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যে সহযোগিতা, দুই দেশের দুটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা, আম রপ্তানি, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফর করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ঐতিহাসিক ওই সফরের সময় ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে, ৬টির কাজ চলমান আছে এবং বাকি ৬টির বদলে নতুন প্রকল্প করারও চিন্তা করা হচ্ছে। জানা গেছে, এ মাসের শুরুতে বেইজিংয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ কয়েকটি প্রকল্পের কথা তুলেছে, যা বিবেচনায় নেওয়া যায় বলে উল্লেখ করেছে চীন। প্রকল্প যাচাই-বাছাই শেষ করতে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়, ফলে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা নষ্ট হয় বলেও চীনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। SHARES জাতীয় বিষয়: পররাষ্ট্রপ্রধানমন্ত্রী