বন্যায় অন্তত ১৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২৪ বন্যার কারণে নয় জেলায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ পাঠদান। এসব স্কুল-কলেজের বেশিরভাগই তলিয়ে গেছে পানির নিচে। কোথাও আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই তৈরি হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বাড়ছে ভোগান্তি। সংকটের মুখে পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা জীবন। এ দফায় জুনের মাঝামাঝি বন্যা শুরু হয় সুনামগঞ্জে। কয়েকদিন ধরে ধীরগতিতে পানি নামলেও এখনও তলিয়ে রয়েছে ১৬০টি বিদ্যালয়। অনেক বিদ্যালয় খোলা থাকলেও দুর্বল সড়ক যোগাযোগের কারণে উপস্থিতি খুবই কম। শিক্ষার্থীরা বলছে, স্কুলে এখন পরীক্ষার সময়। অথচ পানির জন্য কেউ স্কুলে যেতে পারছে না। সিলেটে বন্ধ ৩৯৮টি প্রাথমিক ও ৬৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মৌলভীবাজারেও বন্ধ ২৩৭টি (১৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি মাধ্যমিক) বিদ্যালয়। এর মধ্যে অর্ধেক প্রতিষ্ঠান পানির নিচে আর বাকিগুলো ব্যবহার হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। অভিভাবকেরা বলছেন, এভাবে স্কুলে পড়ালেখা বন্ধ থাকলে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বন্যা দুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে। তবে বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে সে জন্য নানা উদ্যাগের কথা জানান শিক্ষা কর্মকর্তা। মৌলভীবাজার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে পড়ালেখায় সমস্যা হলে শিক্ষকেরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করবে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষকেরা বাড়তি সময় দিয়ে পাঠদান করবেন। কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ৩৭টি প্রাথমিক, ৪৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২০টি মাদ্রাসায় বন্ধ রয়েছে পাঠদান। গাইবান্ধায় ৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকলেও বন্ধ ৬৩টি। এদিকে বন্যার পানি ঢোকায় সিরাজগঞ্জের পাঁচ উপজেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জামালপুরে এইচএসসি পরীক্ষার ৪৭টি কেন্দ্রের এক চতুর্থাংশ বন্যা কবলিত। ২৭ হাজার পরীক্ষার্থীর অর্ধেকের বেশি পানিবন্দী আছে। SHARES শিক্ষা বিষয়: ধীরগতিতেপ্লাবিত