পাপনের পতন, সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ও দেশের বাইরে টেস্টে অন্য বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২৫

ক্যালেন্ডারের পাতা ঝরে বিদায় নিলো ২০২৪। উঠেছে নতুন বছরের নতুন সূর্য। নব প্রত্যাশায় শুরু হয়েছে ২০২৫। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত গোটা বিশ্ব। পাশাপাশি চলছে ফেলে আসা বছরের হিসাব-নিকেশও। কেমন কাটলো ২০২৪?

খেলাপ্রেমী, বিশেষ করে ক্রিকেট অনুরাগীরা পেছন ফিরে দেখছেন, ভাবছেন আর মেলাচ্ছেন গত এক বছরে কী কী হলো। কৌতুহল মেটাতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরাও এখন স্মৃতির আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে।

সাফলতা না ব্যর্থতা-কোন পাল্লা ভারি ছিল? চাওয়া-পাওয়ার কতটা পূরণ হলো? এমন কোনো সাফল্য আছে, যাকে ঘিরে বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে? মাঠের পারফরম্যান্সের চুলচেড়া বিশ্লেষণ করলে তেমন আহামরি কোনো সাফল্য নেই; যা দিয়ে বলা যাবে ২০২৪ ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্মরণীয় বছর।

বড় কিছু না থাকলেও ২০২৪ সাল নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বছর। এক অন্যরকম বৈশিষ্ট্যে বলীয়ান।

২০০০ সালে টেস্ট খেলা শুরু করা বাংলাদেশ ২০২৪-এ এসে টেস্ট ক্রিকেটের দুই যুগ পূর্তি উদযাপন করেছে। একইভাবে ১৯৯৯ সালে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে গত বছর। কিন্তু এই দুই ফরম্যাটের কোনোটিতেই বলার মতো সাফল্য নেই।

অনেক টেস্ট খেলুড়ে দেশের ইতিহাসে কিছু স্মরণীয় বছর আছে, যেগুলো সোনালি সাফল্যে মোড়ানো; সেই দেশগুলোর ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় বছর। যেমন, ১৯৮৩ সাল ছিল ভারতের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ বিজয়ের বছর। তারপর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারত আরও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

কিন্তু কপিল দেবের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ বিজয়ের ঘটনাই ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কাজেই ১৯৮৩ সাল ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।