দুই স্তরের টেস্ট ক্রিকেট চান না লয়েড প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৫ সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে দ্বি স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামো। যেখানে অগ্রাধিকার পাবে তিন মোড়ল ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সেই প্রস্তাব গৃহীত হলে ২০২৭ সাল থেকে শীর্ষ সাত দল খেলবে শীর্ষ স্তরে। সেই সাত দল হলো – অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় স্তরে খেলতে হবে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে। তবে এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা কমে যাবে এই দলগুলোর। পাশাপাশি আয় কমবে সেই বোর্ডগুলোর। তবে এমন প্রস্তাবকে সমর্থন করছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। এমন আলোচনা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। এই প্রস্তাবকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন বাজে প্রস্তাব হিসেবে। দুই স্তর বিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে লয়েড বলেন, ‘আমার মনে হয় না দুই স্তরের কাঠামো বাস্তবায়িত হবে। আমি এই খবর শুনে খুব বিরক্ত। এখনই এটাকে থামিয়ে দেওয়া উচিত। এখানে তো ৩০-৪০টি দল নেই, দল মাত্র ১০টি (আসলে ১২ টি)। আমাদের এমন একটা কাঠামো থাকা উচিত, যেখানে সবাই নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে।’ নতুন এই প্রস্তাব টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো না হয়ে বরঞ্চ খারাপ হবে বলে মনে করেন এই কিংবদন্তি, ‘টেস্ট ক্রিকেট এখনো ক্রিকেটের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সংস্করণ। এখন তো মনে হচ্ছে এটাকে এক পাশে সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। যদি এমনটাই হয়, তবে সেটি খুব বড় ভুল হবে। আমাদের আরও ভালো কাঠামো দরকার। সবাই বসে অনেক চিন্তাভাবনা করেই কিছু করা উচিত, শুধু টি-টোয়েন্টিই সবকিছু—এটা বললে হবে না।’ ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কিভাবে এটি ক্ষতি করবে ক্রিকেটকে, ‘বড় বিপর্যয় হতে পারে। যেহেতু ভালো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ থাকবে না, তাই নিচের স্তরের দলগুলোর উন্নতির সুযোগ থাকবে না। শুধু নিজেদের (একই মানের) মধ্যে খেলে কীভাবে উন্নতি করবেন? টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা দলগুলো হঠাৎই নিজেদের নিচু স্তরে অবনমিত দেখতে পাবে।’ এই প্রস্তাব পাশ হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট যে ধ্বংস হয়ে যাবে সেই আশঙ্কাও করছেন লয়েড, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে যদি টেস্ট ক্রিকেটে ‘‘ইতিহাস’’ হয়ে যায়, তবে সেটি হৃদয়বিদারকই হবে। আমরা প্রায় ১০০ বছর ধরে আইসিসির অংশ। কী ঝলমলে আমাদের ইতিহাস। যদিও ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় আমাদের জনসংখ্যাকে নগণ্যই বলা চলে। আর এখন আর্থিক দুরবস্থার কারণে আমরা পথ হারিয়েছি।’ টেস্ট ক্রিকেটকে দুই ভাগ না করার অনুরোধ জানিয়ে এই কিংবদন্তি বলেন, ‘সবাই শুধু টি-টোয়েন্টিই চায় না, আমরা টেস্ট ক্রিকেটও দেখতে চাই। কারণ, টি-টোয়েন্টি হলো প্রদর্শনী, অন্য দিকে টেস্ট ক্রিকেট হলো সামর্থ্যের পরীক্ষা। শুধু টেস্ট ক্রিকেট দেখেই আপনি একজন ক্রিকেটারের প্রকৃত সামর্থ্য বুঝতে পারবেন।’ SHARES ক্রিকেট বিষয়: অগ্রাধিকারআয়ারল্যান্ডকেবোর্ডগুলোর