কোটা নিয়ে নতুন করে আন্দোলন কেন?

প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৫

গত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। সেই আন্দোলনের শুরুটাও কোটা সংস্কারের দাবিতেই। যার জেরে এক পর্যায়ে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনও হয়েছে। পরে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের সমর্থনেই ক্ষমতায় এসেছে নতুন সরকার। অথচ অভ্যুত্থানের মাত্র পাঁচ মাস পরেই আবারও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন আরেক দল শিক্ষার্থী। গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই মেডিক্যালে ভর্তিতে কোটার বিষয়টি সামনে আসে। আন্দোলনকারীদের দাবি,  মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ‘অযৌক্তিক’ কোটা বাতিল করে মেডিক্যাল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্প্রকাশ করতে হবে। এই দাবিতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

এর আগে সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। পরে তাদের একটি প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, যে কোটাপ্রথা বাতিলের জন্য সহস্র ছাত্র-জনতা শহীদ হলেন, সেই কোটাব্যবস্থার বিলোপ এখনও হয়নি। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় এবার মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য সিট বরাদ্দ করা হয়েছে ২৬৯টি, যা গতবার ছিল ১০৮টি। যেখানে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় কাট মার্ক ৭৩ দশমিক ৭৫, সেখানে ৪০ মার্ক পেয়ে কয়েকজন চান্স পেয়েছেন। উপযুক্ত মার্ক না পেয়েও অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা কোটার মাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পান। আমরা এই বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেবো না।