শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত হচ্ছেন নারী ফুটবলাররাই

প্রকাশিত: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫

মধ্যবিরতি চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের। ফেডারেশন কাপের পরের ম্যাচ আরো দুই মাস পর। মাঠে খেলা না থাকলেও দেশের ফুটবল এখন মিডিয়ায় সরগরম। আর সেই সরগরম নেতিবাচক খবর নিয়ে। ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার ও বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলারদের নানা খবর এখন আলোচনার শীর্ষে। কোচ ও খেলোয়াড়দের পাল্লাপাটি বয়কটের ঘোষণার মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জাপান প্রবাসী ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়ার উত্থাপন করা হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ। এ নিয়ে বুধবার তিনি মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন।

পরিস্থিতি রীতিমতো ঘোলাটে। বাফুফে গঠিত বিশেষ কমিটির কাছে ১৮ ফুটবলার ও কোচ বক্তব্য দিয়ে তাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকার কথা বলেছেন। ১৯ জনের সঙ্গে কথা বলার মধ্যে দিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করেছে বিশেষ কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার তারা প্রতিবেদন জমা দেবে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে।

কী থাকছে সেই প্রতিবেদনে? বাফুফে আগে থেকেই বলে আসছে তারা শৃঙ্খলার বিষয়ে কোনো ছাড় দেবে না। কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সরাসরি সেই শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন নারী ফুটবলাররা। কম যাননি কোচ পিটার বাটলারও।

কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন কয়েকজন মেয়ে যখন কোচের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিলেন মিডিয়ায়, তখন পাল্টা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন পিটারও। তদন্ত কমিটির গঠনের পরও গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কোচ ও নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ কয়েকজন।

বিশেষ কমিটি যখন তদন্ত কাজ গুছিয়ে আনতে শুরু করেছে, তখন বুধবারও গণমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কোচ বাটলার। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বিদ্রোহী ফুটবলারদের বাফুফেতে থাকা ও খাওয়া নিয়েও খোটা দিয়েছেন। এসবই উঠে আসবে বিশেষ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে। এরই মধ্যে পিটারের দেওয়া সর্বশেষ সাক্ষাৎকারের ভিডিও বাফুফে সংগ্রহ করেছে বলেও জানা গেছে।

৩ পৃষ্ঠার চিঠিতে স্বাক্ষর করা ১৮ ফুটবলারকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বিশেষ কমিটির সদস্যরা। তবে চিঠিতে যেভাবে অভিযোগ করেছেন তার সঙ্গে বক্তব্যের অসামাঞ্জস্য দেখেছে কমিটি। অনেক ফুটবলার কমিটির কাছে বলেছেন তারা চিঠি না পড়েই স্বাক্ষর করেছেন।

কোচের বিরুদ্ধে ১৮ ফুটবলার বিদ্রোহ করলেও এর নেতৃত্বে ছিলেন সিনিয়র ৭ জন ফুটবলার। অনেকে মনে করেন, তারাই হলেন নাটের গুরু। এই ৭ ফুটবলার হলেন- অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন, নিলুফার ইয়াসমীন নীলা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মিডফিল্ডার মারিয়া মান্দা, সানজিদা আক্তার ও ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার।