পরিচালকের প্রেমিকা হয়েও তারা ক্যারিয়ার গড়তে পারল না : রুনা খান

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৫

অভিনেত্রী রুনা খানের অভিনয়ে মুগ্ধ হননি— এমন দর্শক খুব কমই পাওয়া যাবে। পর্দায় চরিত্রকে প্রাণবন্ত করে তুলতে তার জুড়ি মেলা ভার। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি নিয়মিত ওয়েব প্ল্যাটফরম ও ফ্যাশন শোগুলোতেও দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। দক্ষ অভিনয়ের পাশাপাশি স্পষ্টভাষী হিসেবেও পরিচিত রুনা খান। তবে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনার মুখে পড়ছেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রুনা খান বলেন, “আমি কখনোই নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি, তবুও আজ সফল হতে পেরেছি। দীর্ঘ সময় ধরে যেসব কাজের প্রস্তাব পেয়েছি, তার মধ্যে যেগুলো ভালো লেগেছে, কেবল সেগুলোই করেছি। কিন্তু গত বিশ বছরে আমার অনেক নারী সহকর্মীর ক্যারিয়ার ব্যক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমেই গড়ে উঠেছে।”

তিনি আরও বলেন, “পরিচালকের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে বা পরকীয়ার সূত্র ধরে অনেকের ক্যারিয়ার এগিয়েছে। সম্পর্ক থাকাকালীন তারা পরিচালকের প্রজেক্টে ছিলেন, কিন্তু সম্পর্ক শেষ হলেই সেই পরিচালক আর তাদের কাজ দেননি। অথচ এসব অসততার মধ্য দিয়েই তারা পর্দায় বোঝানোর চেষ্টা করেন, লম্বা হাতার ব্লাউজ বা গা-ঢাকা পোশাক মানেই শালীনতা! বাস্তবে কিন্তু তাদের জীবনে শালীনতার কোনো ছোঁয়া নেই। এই শ্রেণির কিছু মানুষ আমার প্রতি ক্ষুব্ধ— কারণ, আমি কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে না জড়িয়েও নিজের যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। তাই তারা বলে বেড়াচ্ছে, আমার পোশাক অশালীন।”

পোশাক নিয়ে প্রায়ই আলোচনায় আসেন রুনা খান; বিশেষ করে তার ফটোশুট ঘিরে এই আলোচনা কখনও কখনও বিতর্কের জন্ম দেয়।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, “কাপড়ের আবার অশালীনতা কীভাবে হয়? অশালীন তো হয় কাজ। আমাদের নাটকের অনেক অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন চরম অশালীনতায় ভরা, অথচ পর্দায় শরীরঢাকা পোশাক পরে তারা শালীনতার প্রচার করেন! পোশাকের নিজস্ব কোনো শালীনতা বা অশালীনতা নেই। বোরকা যেমন পোশাক, তেমনি সুইমস্যুটও একটি পোশাক— যার যা ভালো লাগে, সে তাই পরবে। কেউ বলতেই পারেন, এসব আমাদের সমাজে মানায় না। কিন্তু পরিচালকের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিনিময়ে কাজ পাওয়া— সেটা কোন সমাজে গ্রহণযোগ্য?”

রুনা খান আরও বলেন, “কার স্কিন কতটা দেখা যাবে, সেটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। আমি তো প্রথম নই— শাবানা আপাকেও ক্লিভেজ দেখিয়ে নাচতে দেখেছি। শাবনূর, মৌসুমী, শাবনাজ— সবাই পর্দায় স্কিন শো করেছেন। তাহলে ২০-২৫ বছর বয়সে দেখানো যাবে, আর আমার ৪০ বছর বয়সে দেখানো যাবে না কেন? অথচ এখন ৫০ বছরের অভিনেত্রীরাও স্কিন দেখাচ্ছেন। তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে, যা তৈরি করেছেন তারা— যাদের বাস্তব জীবন অশালীনতায় ভরা, অথচ পর্দায় পোশাক ঢেকে শালীনতার মুখোশ পরেন।”