ব্যক্তিজীবনে আমি খুব পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২৫ একক নাটক, ধারাবাহিক নাটক, ওয়েব ছবি ও চলচ্চিত্র—কোথায় নেই দীপা খন্দকার। প্রায় প্রতিদিনই দাঁড়াচ্ছেন ক্যামেরার সামনে। পর্দায় তুলে ধরছেন নিত্যনতুন চরিত্র। এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ। ব্যস্ততা কেমন উপভোগ করছেন? দারুণ। কোনো দিন চলচ্চিত্রের শুটিং, কোনো দিন নাটকের আবার কোনো দিন ওয়েবের। আজ [গতকাল] যাচ্ছি শ্রীমঙ্গলে। মুরাদ পারভেজের একটি একক নাটকের শুটিং করব। ঢাকায় ফিরব ১৪ অক্টোবর। এর মধ্যে টানা শুটিং করেছি বদিউল আলম খোকন ভাইয়ের ‘তছনছ’ ছবির। মাঝখানে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের সিরিজ নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’র শুটিং করেছি। ঢাকায় ফিরে আবার আউটডোর আছে নতুন আরেকটি ছবির। একসঙ্গে দুটি কাজ এসেছে আপনার। ওয়েব ছবি ‘লিটল মিস ক্যাওস’ ও নাটক ‘শেষের গল্প’ নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? মুরাদ পারভেজের ‘শেষের গল্প’ নিয়ে আগে বলতে চাই। নাটকটির পাণ্ডুলিপি পছন্দ হয়েছিল বলেই কাজটি করেছিলাম। এই শ্রীমঙ্গলেই শুটিং হয়েছিল। প্রেম বলতে যে শুধু কিশোর-কিশোরী বা যুবক-যুবতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে সেটা নয়, একটু বয়স হয়ে গেলেও মানুষের মনে প্রেম আসতে পারে। মা-বাবাও একাকিত্বে ভুগতে পারেন। তাঁরাও হয়তো শেষ সময়ে প্রিয়জনের সঙ্গে থাকতে চান, সময় কাটাতে চান—এটাই গল্পের পটভূমি। নাটকটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একটাও নেগেটিভ মন্তব্য পাইনি। এটা দেখেই বেশি ভালো লাগছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, দিন দিন আমরা ম্যাচিউরড হচ্ছি। এটা গুড সাইন। অন্যদিকে ‘লিটল মিস ক্যাওস’ দুই দিন আগে মুক্তি পেলেও দেখলাম আজ [গতকাল] সকালে। দেখার পর মনে হয়েছে, কেন দুই দিন দেরি করলাম? একটা রিভিউ লিখতে চেয়েছিলাম, আবার ভাবছি নিজেই অভিনয় করেছি। কেউ আবার পক্ষপাতিত্ব মনে করে কি না! তার পরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সময় করে লিখব। এই ছবির সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে চাই পরিচালক মাহমুদা সুলতানা রিমাকে। সে স্বপ্নে যে প্রজেক্ট তৈরি করেছিল বাস্তবে সেটার রূপ দিতে পেরেছে। এত সুন্দর সংলাপ, দারুণ প্রেজেন্ট—তরুণদের মন জয় করে নিয়েছে। আপনাকে এখন পারিবারিক ঘরানার গল্পে বেশি পাওয়া যাচ্ছে… হ্যাঁ। এই লড়াইটা দীর্ঘদিন ধরে করতে হয়েছে। একটা সময় দেখেছেন, আমি বেকার ছিলাম। কখনোই উল্টাপাল্টা নাম ও গল্পের নাটকে অভিনয় করিনি, করতে চাইনি। এখন একটু একটু করে পারিবারিক গল্পের নাটক বাড়ছে। আমিও কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। ব্যক্তিজীবনে আমি খুব পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ। সেই ২৮ বছর বয়সে মা হয়েছি। সন্তান গর্ভে থাকার সময় কখনো লুকাইনি। সন্তান হওয়ার পরও গর্বের সঙ্গে ওকে নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছি। অনেকে বলে, মিডিয়ার মানুষের সংসার হয় না। তাঁদের দেখিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। বুঝিয়ে দিয়েছি, মিডিয়ার মেয়েরা সংসার করলে আর দশটা সাধারণ মেয়ের চেয়ে ভালো করে। কারণ তারা ঘর ও বাহির কিভাবে সামলাতে হয় তা জানে। যা-ই হোক, ব্যক্তি ভালো লাগা থেকেই আমি পারিবারিক ঘরানার গল্প বেছে নিই। এমনও হয়েছে, পরিচালক বলেছেন, ফ্যামিলি ড্রামা, ছোট একটা চরিত্র, করব কি না! একবাক্যে রাজি হয়েছি। কারণ তাঁকে ফেরত দিলে এই ধরনের গল্পে আর তিনি নেবেন না। এড়িয়ে চলবেন। তখন যে স্যাক্রিফাইসটা করেছি, এখন তার ফলও পাচ্ছি। শাকিব খান অভিনীত ‘ভাইজান এলো রে’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেছিলেন। পরে আর শাকিবের ছবিতে আপনাকে পাওয়া যাচ্ছে না কেন? এটা তো আমি বলতে পারব না, পরিচালকরা বলতে পারবেন। তা ছাড়া আমার ব্যাপারে একটা বাস্তব সত্য ছড়িয়ে গেছে শোবিজে। কোনো আলতুফালতু চরিত্রে ডাকলে সাড়া দেব না। হয়তো শাকিব খানের ছবিগুলোতে আমার অভিনয় করার মতো চরিত্র থাকছে না বলেই ডাক পাচ্ছি না। তবে অন্যান্য চলচ্চিত্রে কিন্তু কাজ করছি। এরই মধ্যে ১০ থেকে ১২টা তো হলো সংখ্যায়। চলচ্চিত্রে যেহেতু নিয়মিত অভিনয় করছেন, নিশ্চয়ই জাতীয় পুরস্কার নিয়ে ভাবছেন! সময় হলে বলা যাবে। আমার প্রথম ছবি ‘ভাইজান এলোরে’ কিন্তু ভারতের ছবি হিসেবে ধরা হয়েছে। এরপর বড় ছবি বলতে ‘রিভেঞ্জ’ ও ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ করেছি। একটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে—‘ঋতুকামিনী’। এই ছবিটা বিভিন্ন উৎসবে যাচ্ছে। যদি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তাহলে কিছু একটা হতে পারে। জাতীয় পুরস্কারের বিষয়টা আগামী বছর থেকে চিন্তা করতে চাই। SHARES বিনোদন বিষয়: দীপা খন্দকার