মাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড প্রকাশিত: ৩:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২৫ রংপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলে জামিল মিয়াকে (২৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। আজ দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত জামিল মিয়া রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নাজিরদহ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে জামিল মিয়ার স্ত্রী কাকলী খাতুন বাবার বাড়িতে চলে যান। এ ঘটনায় জামিল তার মা জামিলা বেগমকে দোষ দিতে থাকেন এবং তার প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর জামিল ও তার মা একই ঘরে পৃথক খাটে থাকতেন। এই সুযোগে ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট রাতে জামিল তার মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বসতঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে। কয়েকদিন পর জামিলের মামাতো বোনসহ স্থানীয়রা জামিলার খোঁজ নিতে গিয়ে জামিলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে জামিলার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে জামিলার ভাই ছামসুল হক কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আফতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শামিম আল মামুন। পাবলিক প্রসিকিউটর আফতাব উদ্দিন বলেন, ছেলে নিজ মাকে হত্যা করেছে—এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি মামলা ছিল। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আদালত আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে নিহতের পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে। SHARES আইন আদালত বিষয়:
রংপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলে জামিল মিয়াকে (২৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। আজ দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত জামিল মিয়া রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নাজিরদহ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে জামিল মিয়ার স্ত্রী কাকলী খাতুন বাবার বাড়িতে চলে যান। এ ঘটনায় জামিল তার মা জামিলা বেগমকে দোষ দিতে থাকেন এবং তার প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর জামিল ও তার মা একই ঘরে পৃথক খাটে থাকতেন। এই সুযোগে ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট রাতে জামিল তার মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বসতঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে। কয়েকদিন পর জামিলের মামাতো বোনসহ স্থানীয়রা জামিলার খোঁজ নিতে গিয়ে জামিলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে জামিলার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে জামিলার ভাই ছামসুল হক কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আফতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শামিম আল মামুন। পাবলিক প্রসিকিউটর আফতাব উদ্দিন বলেন, ছেলে নিজ মাকে হত্যা করেছে—এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি মামলা ছিল। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আদালত আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে নিহতের পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে।