রেলযাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২৪ রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আট বছরে শুধু ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৫৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৯৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন রেলক্রসিংয়ে। একই সময়ে ট্রেনের ধাক্কা, লেভেলক্রসিং, আত্মহত্যাসহ বিভিন্নভাবে মারা গেছেন ৫ হাজার ৬০০ জন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রেল ভ্রমণে আর কোনো মানুষের প্রাণ যাক, তা আমরা চাই না। রেল ভ্রমণে মৃত্যু খুবই মানসিকভাবে আমাদের কষ্ট দিয়ে থাকে। তাই এ বিষয়ে জনবল বাড়িয়ে দুর্ঘটনা কমাতে হবে। একেকটি মৃত্যু একেকটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য মতে, রেলপথ থেকে প্রতিবছর গড়ে প্রায় সাড়ে ৭০০ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় হত্যার পর রেললাইনে লাশ ফেলা রাখা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এদিকে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম দাবি করেছেন, ‘কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় যে ব্যক্তি ফিশ প্লেট খুলছিলেন তিনি ধাওয়া খেয়ে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গেছেন। তার আইডি কার্ডসহ কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তিনি মূলত কিছু টাকার বিনিময়ে এই কাজ করেছেন। আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি ও তাদের সমর্থনকারী জামায়াত এই কাজগুলো করে।’ যদি রেলদুর্ঘটনাটি নাশকতামূলক হয়ে থাকে, তাহলে তা হবে আরো ভয়াবহ ও মারাত্মক। সেজন্য রেলভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অচিরেই গড়ে তুলতে হবে শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। SHARES সম্পাদকীয় বিষয়: কর্তৃপক্ষরেলপথ