চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রবীর মিত্র

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৫

এফডিসিতে প্রথম জানাজা ও চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা প্রবীর মিত্র। 

শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসিতে এসেছিলেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীসহ ভক্ত-অনুরাগীরা।

এফডিসিতে এই অভিনেতার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিশা সওদাগর, ছটকু আহমেদ, খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী ও এফডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

এছাড়া প্রবীর মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস), চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, ফিল্ম ক্লাব সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই অভিনেতা।

বলা প্রয়োজন, অনেকদিন ধরেই বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছিলেন প্রবীর মিত্র। অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু জটিলতার কারণে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, কিছু শারীরিক জটিলতায় গুণী এই অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তির পর আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কেবিনে আনেন চিকিৎসকরা। এরপর আবারও এইচডিইউতে রাখা হয়েছিল তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নায়ক হিসেবে কাজ করলেও তিনি ছিলেন মূলত একজন চরিত্রাভিনেতা।

প্রবীর মিত্র অভিনীত কাজের তালিকায় রয়েছে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক সিনেমা।