সেন্ট মার্টিনের ঝুঁকিপূর্ণ জেটিতে ভোগান্তি পর্যটকদের

প্রকাশিত: ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের যেতে হয় জাহাজে চড়ে। আর জাহাজ থেকে দ্বীপে নামার একমাত্র উপায় হল জেটি। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় জেটিটি এখন ভঙ্গুর ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ফলে পর্যটক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বীপে ওঠানামা করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দ্বীপের একমাত্র জেটিটি উপরে দেখতে ফিটফাট হলেও ভেতরের কাঠামো নাজুক হয়ে গেছে। বিভিন্ন অংশের দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়েছে, পিলারে ধরেছে ফাটল, নিচের অংশের পুরো আস্তরণ উঠে বিপজ্জনকভাবে বেরিয়ে পড়েছে রড। জায়গায় জায়গায় তক্তা বিছিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেটির মধ্যভাগে নৌযানে ওঠানামার জন্য নির্মিত দুটি সিঁড়িও ভেঙে পড়েছে। সেখানেও তক্তা বিছিয়ে লোকজনকে নৌকায় ওঠানামা করতে হচ্ছে।

সেন্ট মার্টিন ঘুরতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. নোমান বলেন, পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসে। কিন্তু জেটি থেকে নামতে ঝুঁকির কারণে পর্যটকদের ভ্রমণের আনন্দ মাটি হয়ে যাচ্ছে।

“জেটির দুইপাশের রেলিং ভেঙে বিপজ্জনকভাবে বেরিয়ে পড়েছে রড। হুড়োহুড়ি করে জেটিতে হাঁটতে গিয়ে আমাদের বন্ধু নায়েম বের হয়ে থাকা রডে আঘাত পেয়ে আহত হয়েছে।”

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরের বুকে সাড়ে আট বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এ দ্বীপে বসবাস করা স্থানীয় বাসিন্দা প্রায় ১০ হাজার।

আগে পর্যটন মৌসুমে প্রচুর লোক দ্বীপে বেড়াতে আসলেও চলতি মৌসুমে প্রতিদিনই পর্যটকবাহী পাঁচটি জাহাজে দুই হাজারের মতো পর্যটক দ্বীপে আসা-যাওয়া করছেন।

আর দ্বীপে আসা পর্যটক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্থানীয় বাসিন্দা সবার জন্যই জেটিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাহাজ কিংবা ট্রলারের যাত্রী বা মালামাল নিয়ে আসা নৌযান দ্বীপের একমাত্র জেটিতেই ভিড়তে হয়। কিন্তু সংস্কারের অভাবে এখন এর অবস্থা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।