এমন সংলাপের লোভেই হয়তো অভিনয় করি: জয়া আহসান

প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৫

উঁচু–নিচু পথ, টিলা, তার মধ্যে আবার ঝর্ণা, জলাধার; সবুজে ঘেরা পরিবেশ। অদ্ভুত সৌন্দর্যের মধ্যে বসবাস কিছু মানুষের। তারাও প্রকৃতির মতোই সুন্দর; সবার কণ্ঠেই সুর, ছন্দময় তাদের কথা। হঠাৎ সেই লোকালয়ে পাওয়া যায় এক ছোট মেয়েকে, যার কণ্ঠে সুর নেই! 

সেই গ্রামে কণ্ঠে সুর না থাকা একটা অভিশাপ। ছোট মেয়ের অভিশাপ কাটে, কণ্ঠে সুর আসে। কিন্তু কীভাবে? সেটির পেছনে ছুটতে গিয়ে বের হয়ে আসে ডাইনির কথা। প্রকাশ্যে আসতে থাকে আরও সব কঠিন বাস্তবতা।

শেষ চমকটা এখানেই। বিষয় আর সংলাপের জৌলুসের সঙ্গে দর্শকদের চমকে দিতে পর্দায় হাজির হন দুই বাংলার অন্যতম অভিনেত্রী জয়া আহসান। গল্পের সেই ডাইনি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মেকআপের গুণে ডাইনি চরিত্রে তাকে বোঝাই ছিল কষ্টসাধ্য। গল্পের প্রয়োজনে শেষভাগে নিজের রূপে ধরা দেন অভিনেত্রী।

চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘২ষ’-এর শেষ পর্ব ‘বেসুরা’ প্রকাশ পেয়েছে। সিরিজে ভয়ের নতুন একটা ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন পরিচালক নুহাশ হুমায়ূন। তাইতো পরিচিত ভূতের গল্প না বলে সাইকোলজিক্যাল হরর গল্প বলেছেন তিনি। মা গুলতেকিন খানের সঙ্গে গল্পগুলো লিখেছেন নুহাশ।

ডাইনি চরিত্রে অভিনয়ের কথা শুনে কাজটি করতে আরও আগ্রহী হয়েছেন বলে জানান জয়া আহসান। তিনি বলেন, ‘দর্শকরা সবাই কম–বেশি জানেন আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, ভিন্ন রকম চরিত্র করতে পছন্দ করি। গল্পটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নুহাশ হুমায়ূন ও গুলতেকিন খান মিলে ভীষণ শক্তিশালী গল্প লিখেছেন। ক্যামিও চরিত্র হিসেবে কাজটি করেছি। ছোট চরিত্র হলেও এর প্রভাব অনেক বেশি।’

‘বেসুরা’র গল্প ও সংলাপ নিয়ে জয়া আহসানের আরও কিছু মুগ্ধতা রয়েছে। তার মতে, পর্বটিতে এমন কিছু সংলাপ রয়েছে যা বলবার লোভ থেকেই হয়তো কাজটি করেছেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা যে অভিনয় বা শিল্পচর্চা করি বা একজন শিল্পী যে শিল্পচর্চাটা করেন তার মূল জায়গাটা কী, সেটা ডাইনি বেশে আমার দেয়া সংলাপগুলোতে নিহিত আছে। এমন সংলাপের লোভেই হয়তো অভিনয় করি।’

‘২ষ’ সিরিজের ‘বেসুরা’ পর্বে অনেকটা সময় ডাইনি সাজে থাকতে হয়েছে জয়া আহসানকে। শেষ কিছু মুহূর্ত না এলে অভিনেত্রীকে বোঝাই কঠিন হয়ে যেত বলে মনে করছেন অধিকাংশ দর্শক। নুহাশ জানান, কনটেন্টটি এডিট করার সময় প্রথমে এডিটরও নাকি বুঝতে পারেননি যে ডাইনি বেশে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। এ জন্য অবশ্য অভিনেত্রী কৃতিত্ব দিয়েছেন মেকআপ আর্টিস্ট, নির্মাতা ও সিনেমাটোগ্রাফারকে।

জয়া বলেন, ‘ভালো লাগছে যে প্রথম দিকে কেউ এটা ধরতে পারেনি। এটা আসলে মেকআপ আর্টিস্টের কৃতিত্ব। কীভাবে চরিত্রটিকে দেখানো হচ্ছে, ক্যামেরা কীভাবে ধরা হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল এক্ষেত্রে। তাই নির্মাতা ও সিনেমাটোগ্রাফারকেও এর কৃতিত্ব দিতে হবে।’