মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমায় আপত্তি যে কারণে প্রকাশিত: ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫ শেষ হচ্ছে শূরায়ে নেজামের অধীনে পরিচালিত দুইধাপের বিশ্ব ইজতেমা। শূরায়ে নেজামের ইজতেমা শেষ হওয়ার একদিন আগে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন নিয়ে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আগামী বছর থেকে টঙ্গী ময়দানে ইজতেমা ও তাবলিগি কার্যক্রম পরিচালনা না করার শর্তে আগামী ১৪, ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর ময়দানে মাওলানা সাদ অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমা করতে পারবে। এই সিদ্ধান্তকে একপেশি ও বৈষম্যমূলক বলছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা৷ তবে তাৎক্ষণিক এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে চান না তারা। মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেছেন, আমাদের ইজতেমা ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে। আমরা সরকারের কাছ থেকে বৈষম্যমূলক আচরণ চাই না। সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মুরব্বিরা মাশোয়ারা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। মাশোয়ারাতে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা পরবর্তীতে জানানো হবে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে মাওলানা সাদ অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম আহমাদের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি। এদিকে তাবলিগের শূরায়ে নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আলেম সমাজ ও সাধারণ তাবলিগের সাথী ও আমরা মনে করি এই শর্ত যৌক্তিক। কারণ, মাওলানা সাদ অনুসারীরা টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা করার নৈতিক অধিকার হারিয়ে। তাদের বিরুদ্ধে শূরায়ে নেজামের তাবলিগের সাথীদের ওপর হামলা, হত্যার অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তারা আগে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করুক। তারা নিরাপরাধ প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে টঙ্গীর ময়দানে তাদের বিশ্ব ইজতেমার বিষয়ে সিন্ধান্ত হবে ইনশাআল্লাহ। এদিকে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তাবলিগের শূরায়ে নেজাম সংশ্লিষ্ট একজন আলেম ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, মাওলানা সাদ অনুসারীদের হাতে আমাদের ভাইদের রক্ত লেগে আছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত টঙ্গীতে তাদের ইজতেমা আয়োজনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ, তারা টঙ্গীর ময়দানেই আমাদের সাথী ভাইদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, মাওলানা সাদ অনুসারীরা বাংলাদেশে শূরায়ে নেজামের সব কার্যক্রমে সমান ভাগ বা অংশীদার হতে চাইছেন। তারা কাকরাইলে সমানভাবে আমলের অনুমতি চাইছেন, টঙ্গীতে সমানভাবে ইজতেমার আয়োজন করতে চাইছেন। অথচ তাদের মূল কেন্দ্র দিল্লির নিজামুদ্দীন মারকাজে তারা শূরায়ে নেজামের কোনো মুরব্বী, আলেম বা সাথীকে প্রবেশ করতে দেন না। রায়বেন্ডে তাদের যেই ইজেতেমা হয় সেখানেও আমাদের যেতে দেন না। তিনি বলেন, এসব নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তারা সেখানে তাদের মতো করে কাজ করছে করুক, আমরা তো বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু বাংলাদেশে যখন তারা সমান অংশীদার হতে চাচ্ছে, ঝামেলা তো তখন বাড়ছে। আর তারা তো বাংলাদেশে শুধু সমান অংশীদার হতে চাইছে না, বরং বিভিন্ন জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই এই বিষয়গুলোর মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত তাদের ইজতেমার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি। SHARES সারা বাংলা বিষয়: প্রশাসনের