চলমান আইপিএলে তিনটি দলের ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে আরও ৭ দল লড়াই করবে। যেখানে কোনো দলই এখনও পর্যন্ত প্লে-অফে জায়গা পাকা করতে পারেনি।

টুর্নামেন্টে প্লে-অফ ছাড়া গ্রুপ পর্বে আর মাত্র ১৫টি ম্যাচ বাকি আছে। চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্লে-অফে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে গেছে।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ১১টি ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে পাঞ্জাব কিংস (১৫) এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (১৪) রয়েছে যথাক্রমে দুই এবং তিন নম্বরে। গুজরাট টাইটান্সও ১৪ পয়েন্ট পেয়েছে। চার নম্বরে রয়েছে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলেছে তারা। মঙ্গলবার গুজরাট এবং মুম্বাই একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। যে দল এই ম্যাচ জিতবে তারাই এক নম্বরে পৌঁছে যাবে। কারণ এই দুই দলের নেট রানরেট শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরুর থেকে বেশি। এই তিন দলের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া প্লে-অফের ওঠার লড়াইয়ে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই তিন দলের মধ্যে কিছুটা ভাল জায়গায় দিল্লি। ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের। ফলে ১৯ পয়েন্টে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে দিল্লির। কলকাতা পৌঁছতে পারে সর্বোচ্চ ১৭ পয়েন্টে। লখনউয়ের পক্ষে ১৬ পয়েন্টের বেশি পাওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে প্রথম চারটি দলের মধ্যে বেঙ্গালুরু ইতিমধ্যেই ১৬ পয়েন্ট পেয়ে গেছে। মঙ্গলবার গুজরাট বা মুম্বাইয়ের মধ্যে একটি দলের সুযোগ রয়েছে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাওয়ার। ১ পয়েন্ট পেলেই পাঞ্জাব পৌঁছে যাবে ১৭ পয়েন্টে। এই দলগুলি ১৬ পয়েন্ট পার করে গেলেই লখনউয়ের প্লে-অফে ওঠার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। দিল্লি এবং কলকাতাকেও নিজেদের সব ম্যাচ জেতার পর অপেক্ষা করে থাকতে হবে বাকি দলগুলির ফলের উপর।

শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরুর ম্যাচ বাকি লখনউ, হায়দরাবাদ এবং কলকাতার বিপক্ষে। পাঞ্জাবের খেলা বাকি দিল্লি, মুম্বাই এবং রাজস্থানের বিপক্ষে। মুম্বাই এবং গুজরাট মঙ্গলবার মুখোমুখি। তার পরে মুম্বাই খেলবে পাঞ্জাব এবং দিল্লির বিপক্ষে। গুজরাটের ম্যাচ বাকি থাকবে দিল্লি, লখনউ এবং চেন্নাইয়ের বিপক্ষে।

দিল্লির খেলা বাকি পাঞ্জাব, গুজরাট এবং মুম্বাইয়ের বিপক্ষে। কলকাতার খেলা বাকি চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে। লখনউয়ের ম্যাচ বাকি বেঙ্গালুরু, গুজরাট এবং হায়দরাবাদের বিপক্ষে।