ফুড পয়জনিং হলে যা খাবেন, যা খাবেন না

প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৪

বাংলাদেশের মত দেশে ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া একটি সাধারণ ও পরিচিত সমস্যা। কারণ রাস্তায় বা রাস্তার পাশের হোটেলে প্রায়ই খাবারগুলো অপরিষ্কার ও জীবাণুযুক্ত হয়ে থাকে। যখন কেউ দূষিত, নষ্ট বা বিষাক্ত খাবার খায়, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং পরজীবী দ্বারা সংক্রামিত, তখন ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে।

ফুড পয়জনিং এর কারণ

সাধারণত নোরোভাইরাস, সালমোনেলা, ক্লোস্ট্রিডিয়াম পারফ্রিনজেন, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর এবং স্টাফিলোকক্কাস নামক প্যাথোজেনের কারণে বেশীরভাগ ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। তবে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ছাঁচ, টক্সিন পদার্থ, অ্যালার্জেন, কম রান্না করা মাংস ইত্যাদি খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী। তবে বেশিরভাগ সময়ই খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং এর জন্য হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ

সাধারণ ক্ষেত্রে ফুড পয়জনিং এ নিম্নলিখিত লক্ষণ গুলো দেখা যায়- পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা বমি, ক্ষুধামন্দা, অল্প জ্বর, দুর্বলতা, মাথাব্যথা। তবে মারাত্মক ফুড পয়জনিং এ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো হল- ডায়রিয়া যা ৩ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, ১০২ ডিগ্রির বেশি জ্বর, দেখতে বা কথা বলতে অসুবিধা, গুরুতর ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ (যেমন শুষ্ক মুখ, সামান্য প্রস্রাব করা), রক্তাক্ত প্রস্রাব ইত্যাদি এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।