শাশুড়িকে সঙ্গে রাখবেন না স্ত্রী, স্বামীর আত্মহত্যা প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৫ স্ত্রী শাশুড়িকে একসঙ্গে থাকতে না দেওয়ায় অভিমান ও কষ্টে ১৫ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন যোগেশ কুমার। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গ্রেটার ফরিদাবাদ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যোগেশ পেশায় একজন রেডিওথেরাপিস্ট ছিলেন। এ তথ্য প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। নিহতের চাচা প্রভাকর সিং পুলিশে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। সেখানে তিনি যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ভুপানি থানায় পাঁচজনের নামে এফআইআর করা হয়েছে। তারা হলেন—নেহা রাওয়াত, তার বাবা-মা এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াত। যোগেশ মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা ছিলেন এবং গুরগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নয় বছর আগে তার বিয়ে হয় নেহা রাওয়াতের সঙ্গে। তাদের ছয় বছরের এক সন্তান রয়েছে। দম্পতি আগে নয়ডায় বসবাস করতেন। সেখানে নেহা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। অভিযোগকারী চাচার বক্তব্য অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরিতে থাকায় সন্তানটির যত্ন নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। এ কারণেই যোগেশ চেয়েছিলেন, তার মা যেন তাদের সঙ্গে থেকে সন্তানকে দেখাশোনা করেন। কিন্তু নেহা তাতে রাজি ছিলেন না। প্রায় ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন, আর নেহা নয়ডায় থেকে যান। পরে যোগেশ নিজের মাকে সন্তানের যত্নের জন্য ফরিদাবাদে নিয়ে আসেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্রায় এক মাস আগে নেহা পার্ল সোসাইটির ওই ফ্ল্যাটে যোগেশের সঙ্গে থাকতে আসেন। এরপর থেকেই তিনি যোগেশের মায়ের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তুলতে থাকেন। নেহার দুই ভাই আশীষ ও অমিতও সেখানে এসে যোগেশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন, যা তাকে মানসিকভাবে গভীরভাবে আঘাত করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নেহাকে নিয়ে যোগেশ নিজের গোয়ালিয়রের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে নয়ডায় নেহাকে নামিয়ে দিয়ে তিনি একাই ফরিদাবাদে ফিরে আসেন। শুক্রবার রাতে মানসিক চাপে তিনি ১৫ তলা ভবন থেকে লাফ দেন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সঙ্গরাম দাহিয়া জানান, অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। SHARES দুর্ঘটনা বিষয়: