প্রায় সব ওষুধের দাম বাড়বে প্রকাশিত: ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫ গত বৃহস্পতিবার অধ্যাদেশ জারি করে ওষুধের কাঁচামালের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় আবারও অধিকাংশ ওষুধের দাম বাড়তে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়েই বেশি দামে ওষুধ কিনতে হবে। হিসাব কষে দেখা যায়, কাঁচামালের ওপর সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর ফলে ৬০ মিলির নাপা সিরাপ বিক্রি হবে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সায়। বর্তমানে এ ওষুধের দাম ৩৫ টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওষুধের দাম বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়বে। চিকিৎসা নিতে বেশি ব্যয় করতে হবে। নাপা ওষুধটি জ্বর, সর্দিজ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাথাব্যথা, দাঁতের ব্যথা, কানে ব্যথাসহ, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। শুধু নাপা না, প্রায় সব ধরনের ওষুধের দাম বাড়বে। বছরখানেক ধরে ওষুধের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধির কারণে এমনিতেই মানুষের ওপর চাপ বেড়েছে। সব খরচ বৃদ্ধির সঙ্গে ওষুধের দাম বৃদ্ধি অনেকের কাছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দেবে। অনেকেই আছেন যিনি এক সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছেন। প্রতিদিনই এসব রোগের ওষুধ খেতে হয়। এতে অনেকেরই মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। আগে যাদের ওষুধ ১০ হাজার টাকা ব্যয় হতো সামনে তাদের ওষুধে ১১ হাজার টাকা ব্যয় হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, দাম বৃদ্ধির কারণে জনস্বাস্থ্যের ওপর দুই ধরনের প্রভাব পড়বে। একটি হচ্ছে সরাসরি প্রভাব, ওষুধ এবং এর সঙ্গে যুক্ত যেগুলোর দাম বেড়েছে সেগুলোর প্রভাব। ওষুধে মানুষের নিজের পকেট থেকে খরচ করতে হয় ৭২ শতাংশ। দাম বৃদ্ধির ফলে সেই খরচ আরও বেড়ে যাবে। প্রতিবছরই চিকিৎসা করতে গিয়ে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। অন্যদিকে অনেক ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে মানুষের পুষ্টিতে প্রভাব ফেলবে। পুষ্টিহীনতা আরও বেড়ে যাবে। SHARES স্বাস্থ্য বিষয়: ওষুধশুল্ক